দেশ বিভাগে ফিরে যান

নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই তৃণমূলের পাশে ত্রিপুরার বামেরা?

September 14, 2021 | 2 min read

ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি না দেওয়ার নিন্দা করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার (Manik Sarkar on TMC Tripura)। বললেন, “এটা ত্রিপুরার সংস্কৃতি নয়।”

তাঁর অভিযোগ, মোট ৪৪টি পার্টি অফিসে আক্রমণ করা হয়েছে। যার মধ্যে চারটি পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে ২৭টি পার্টি অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ১২টি পার্টি অফিস লুট করা হয়েছে। তবে শুধু রাজনৈতিক দলের দপ্তরই নয়, আক্রমণ হয়েছে সংবাদমাধ্যমের অফিসেও। চারটি সংবাদপত্রের দপ্তরে হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ডেইলি দেশের কথা, পিবি ২৪ নিউজ, প্রতিবাদী কলম এবং দুরন্ত টিভি। বিজেপি সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে ৬৭টি বাড়ি এবং দোকানে।

এর মধ্যে তেরোটি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে লুট করা হয়েছে ৪৮টি বাড়ি। চারটি দোকানে লুট করা হয়েছে এবং দুটি দোকানে আগুন ধরানো হয়েছে। মোট ২৪জন বাম সমর্থকের উপর হামলা চালানো হয়েছে যাদের মধ্যে ১০জন হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের (Manik Sarkar) আরও অভিযোগ, “২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় মোট ৬৬২টি পার্টি অফিস এবং ২০৪টি গণসংগঠনের অফিস ধ্বংস করেছে বিজেপি। রাজ্য জুড়ে ৩১৭৪টি বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে ধ্বংস করেছে বিজেপি।”

সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ত্রিপুরার মতো বিরোধীদের উপর আক্রমণ অন্য কোনও রাজ্যে হচ্ছে না। আশ্চর্যজনক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করছে না। শুধু বিরোধী রাজনৈতিক দলই নয়, আদালত চত্বরে আইনজীবীরা আক্রান্ত, সাংবাদিকরা আক্রান্ত, সংবাদমাধ্যমের দপ্তরে হামলা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি লুঠ হচ্ছে। সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।এদিকে ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ছিল সিপিএম প্রতিনিধিদলের।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সীতারাম ইয়েচুরি জানান, “রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়া হলেও তার উত্তর এখনও মেলেনি। তবে, আমরা আশা করছি রাষ্ট্রপতি আমাদের সময় দেবেন এবং আমরা গিয়ে আমাদের অভিযোগ জানাতে পারব।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Cpim, #Manik Sarkar, #tripura, #tmc

আরো দেখুন