ত্রিপুরায় ‘ম্যাচ ফিক্সিং’করছে বিজেপি-সিপিএম, অভিযোগ সুস্মিতার
ত্রিপুরা রাজনৈতিক দোলাচল নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের নেত্রী সুস্মিতা দেব ৷ ত্রিপুরায় বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হয়েছে বলে বুধবার দাবি করেন তিনি ৷ তিনি বলেন গত ৩ বছরে বিজেপি শাসন কালে বামেদের ওপর কোনও আক্রমণ আসেনি ৷ তবে ভোটের আগেই কেন বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছে সিপিএম? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জাতীয়স্তরের নেত্রী বলে দাবি করে তিনি৷
পাশাপাশি রাজ্য সভায় তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানান সুস্মিতা৷ তিনি আরও বলেন, ‘’ তৃণমূল কংগ্রেসে রাজ্যসভা ও লোকসভাতে সবচেয়ে বেশি মহিলা সদস্য আছে। ‘’আগামীদিনে উত্তর-পূর্বে তৃণমূলের শক্তি যাতে আরও বাড়ে সেই দিকে আমি নজর রাখব বলে’’ জানান তিনি৷
উত্তর-পূর্ব প্রসঙ্গ উঠতেই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে ত্রিপুরা নিয়ে৷ সেই প্রসঙ্গেই এদিন ‘বিজেপি-বাম ম্যাচ ফিক্সিং’ হয়েছে বলে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি৷ আাগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেই রাজ্যে তৃণমূলের ভোটে ভাগ বসাতেই বিপ্লব দেব ও মানিক সরকারেরা এই কৌশল নিয়েছে বলে দাবি তাঁর৷ বামেদের ওপর একাধিক হামলার অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে৷ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে বামেদের পার্টি অফিস৷ এগত কয়েক দিনে ত্রিপুরাতেমনকী আক্রান্ত হতে হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে৷ এই ঘটনায় বামেদের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে বিপ্লব দেব সরকারের ওপর৷ যার ফলে উত্তর-পূর্বের এই পুরোনো বাম দূর্গে ফের উস্কে উঠছে বাম আবেগ৷
২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে রয়েছে ৬০ টি বিধানসভা আসন৷ ২০২১ বাংলায় বিরাট জয়ের পর ত্রিপুরাকেই এবার পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির৷ এছাড়াও আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও ত্রিপুরার ২ টি লোকসভা আসন দখল করতে মরিয়া তৃণমূল৷ আঞ্চলিক দল থেকে জাতীয়স্তরের রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ত্রিপুরাকেই যে মাইলস্টোন হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই রাজনৈতিক মহলের৷
সম্প্রতি ত্রিপুরাতে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লির বাদল অধিবেশনেও সরব হয়েছিলেন সৌগত রায়, ডেরেক ও’ ব্রায়েনেরা৷ যার ফলে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় মোদি-শাহ’দের৷
এবার সুস্মিতার ‘বাম-বিজেপি ম্যাচ ফিক্সিং’ ইস্যুতে ত্রিপুরার রাজনীতিতে আরও কতটা জলঘোলা হয় তা দেখতেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল৷