রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

গাঁজা পাচারকারী রোশন মেহেরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছবি! বিতর্ক তুঙ্গে

September 17, 2021 | 2 min read

কাটোয়ায় ধৃত ওড়িশার গাঁজা পাচারকারী রোশন মেহেরের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের ছবি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গা ঘেঁষে রোশন দাঁড়িয়ে আছে। এরকম বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এনিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। গাঁজা পাচারের ঘটনায় ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস। পাশাপাশি ওড়িশা পুলিসের সাহায্যে নিয়ে রোশনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কাটোয়ার এসডিপিও কৌশিক বসাক বলেন, গাঁজা পাচারের ঘটনায় ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা তদন্ত চালানো হচ্ছে। তবে, এই ঘটনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।


প্রসঙ্গত, ১১সেপ্টেম্বর দুপুরে কাটোয়া-কড়ুই রাস্তার কাছে অর্জুনডিহি গ্রামের মোড়ে একটি চারচাকা গাড়ি আটকায় পুলিস। গাড়িটি চালাচ্ছিল অর্জুনডিহি গ্রামের বাসিন্দা হানিফ শেখ। সামনের সিটে বসেছিল ওড়িশার বোলাঙ্গি জেলার বাসিন্দা রোশন মেহের। ওই গাড়িতে একটি বস্তায় সাড়ে ২৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিস। পাশাপাশি দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।


জানা গিয়েছে, ধৃত রোশন পানের ব্যবসার আড়ালে গাঁজা পাচার করত। তবে তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। ধৃতের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের ছবি (যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’) আপলোড করা হয়েছে। এনিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, একজন কুখ্যাত গাঁজা পাচারকারী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলছে। সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করছে। উদ্দেশ্য একেবারে পরিষ্কার। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির লোকেরাই এসব করে। আর মুখে বড় বড় কথা বলে। 


যদিও কাটোয়ার বিজেপি নেতা অনিল দত্ত বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তো অনেকেই ছবি তোলে। তারজন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা দল কেন দায় নেবে? কে ছবি তুলল, তা নিয়ে বিজেপির কোনও দায় নেই। ওই ছবিতে তো আর প্রমাণ হয় না, ধৃত যুবক বিজেপি করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত গাঁজা পাচারকারী রোশন ওড়িশার বাসিন্দা। সে বেশ কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারে। রোশন ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে সাপ্লাই দিত। কাটোয়ার হানিফ শেখও গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। রোশন গাঁজা নিয়ে হানিফকে দিত। হানিফ সেটা বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত। ওড়িশার বোলাঙ্গি গাঁজা চাষের মুক্তাঞ্চল বলেও পরিচিত। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দিয়ে মাওবাদীরা গাঁজা চাষ করায়। ওই এলাকার গাঁজা দেশজুড়ে পাচার হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় ওড়িশার গাঁজার চাহিদাও বেশি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, রোশনের সঙ্গে মাওবাদী যোগ থাকতে পারে। কারণ মাওবাদীদের এড়িয়ে ওড়িশা থেকে গাঁজা পাচার করা সম্ভব নয়। তাই রোশনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে চাইছে পুলিস।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Dharmendra Pradhan

আরো দেখুন