জমি নিয়ে বিজেপির সন্ত্রাস, জলপাইগুড়িতে জখম মহিলা সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী
জমি নিয়ে বিবাদ গড়াল রক্তারক্তি কাণ্ডে। তৃণমূল (TMC) বিজেপি (BJP)-র মধ্যে তুমুল বিবাদ গড়াল মারামারিতে। মারামারি, ধাক্কাধাক্কিতে মাথা ফাটে এক তৃণমূল কর্মীর। জখম হন আরও বেশ কয়েকজন মহিলা সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।
তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, “গ্রামে থাকতে হলে বিজেপি করতে হবে তা না হলে তাদের জমি দখল হবে এমনই হুমকি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা।” এর পর জোর খাটিয়ে তাদের জমি দখল করতে এলে শুরু হয় মারামারি। জানা গিয়েছে, একে অপরের ওপর বাঁশ, লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। ঘটনায় জখমদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে এই বচসা?
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির গড়াল বাড়ি সরকার পাড়া এলাকায় দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে এলাকার একটি দেড় বিঘা জমিতে কৃষিকাজ করছেন গ্রামের বাসিন্দা তথা এলাকার তৃণমূল নেতা শ্যামল চন্দ্র বর্মণ। তাঁর বসতবাড়িও জমি লাগোয়া। অভিযোগ, গ্রামের কয়েকজন বিজেপি নেতা গত বুধবার বিকালে নিজেদের জমির মালিক বলে দাবি করে আচমকা হামলা চালায় তৃণমূল নেতার শ্যামল বর্মনের পরিবারের উপর। শ্যামলবাবুর বৃদ্ধা মায়ের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যা মমতা বর্মনের হাত ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
এক তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “আমাদের জমিল দখল করতে গিয়েছিল। বাড়ির মেয়েরা বাধা দিতে গেলে বিজেপির লোকেরা মারধর করে। আবার তাঁর আরও অভিযোগ, ওই বিজেপি নেতাদের সঙ্গ দেন তৃণমূলের কয়েকজন। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করে আসছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ আক্রমণ? তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, গ্রামে থাকতে হলে বিজেপি করতে হবে। কিন্তু তা পরোয়া না করায় তাঁদের এই অবস্থা।” মারের চোটে বাড়ির খুদে সদস্যেরও মাথা ফেটে যায়। যে ভাবে তাঁদের ওপর এই আক্রমণ করা হল তা ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর শুক্রবার দুপুরে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে থানায় গিয়ে মোট নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বলে খবর। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।