পুরোনো রেশন কার্ডেও মাসে ৫ কেজি করে চাল
রাজ্য সরকার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ডিজিটাল রেশন কার্ড ছাড়া আর কেউ রেশনের সামগ্রী পাবেন না। তবে করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউনের এই দুর্যোগের মধ্যে বাতিল পুরোনো রেশন কার্ডকেই খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে চাইছেন অনেকে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বহু জায়গায় রেশন দোকানে গোলমাল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাতিল হয়ে যাওয়া সেই সব পুরোনো রেশন কার্ডের মালিকদেরও এখন মাসে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্ভবত কাল, সোমবারই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হবে। সে ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। তার অধিকাংশই নিম্ন-মধ্যবিত্ত। লকডাউনের ফলে তাঁদের অনেকেই কাজ হারিয়েছেন কিংবা এখন মাইনে পাচ্ছেন না।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের পুরোনো রেশন কার্ড আছে, তাঁদের বিশেষ কুপনের মাধ্যমে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার। সেই জন্য একটি অ্যাপ চালু করা হচ্ছে।’ খাদ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ওই অ্যাপের মাধ্যমে জেলাশাসকের কাছে কুপনের জন্য আবেদন করা যাবে। আর যাঁদের কোনও রেশন কার্ডই নেই,তাঁরা গ্রামের ক্ষেত্রে ব্লক অফিস ও পুরসভা বা পুরনিগম এলাকার ক্ষেত্রে বরো অফিসে আবেদন করে কুপন নিতে পারবেন।’
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, মার্চ মাস থেকে রেশন দোকানের মাধ্যমে বিনা পয়সায় মাথা পিছু মাসে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য দপ্তরের আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অন্তর্ভুক্ত এএওয়াই, পিএইচএইচ এবং এসপিএইচএইচ কার্ড ছাড়াও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অধীনে থাকা আরকেএসওয়াই-ওয়ান এবং টু কার্ড যাঁদের কাছে রয়েছে,তাঁদের প্রত্যেকেরই রেশন থেকে বিনামূল্যে মাসে পাঁচ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা।
রেশনের চাল পেতে গেলে অবশ্যই ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকতে হবে। এর মধ্যে কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করলেও যে কোনও কারণেই হোক তা এখনও হাতে পাননি। লকডাউনের সময়ে তাঁরাও যাতে রেশনের সুবিধে থেকে কোনও ভাবেই বঞ্চিত না-হন, সেটা নিশ্চিত করতে তাঁদের আলাদা কুপন দেওয়া হচ্ছে।