মুম্বইকে হারিয়ে আইপিএলে দুরন্ত জয় ধোনির চেন্নাই-এর
দিনের শুরুতে মনে হয়েছিল হাসতে হাসতেই আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচে জিতে যাবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু ঋতুরাজ গায়কোয়াডের দুরন্ত ব্যাটিং এবং চেন্নাই বোলারদের অসাধারণ পারফরম্যান্স শেষপর্যন্ত হাসি ফোটাল মহেন্দ্র সিং ধোনির মুখেই। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচেই ২০ রানে হারল রোহিত-হার্দিক পাণ্ডিয়াহীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশে হু হু করে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। বায়োবাবলে অনুষ্ঠিত হলেও করোনা থাবা বসায় আইপিএলেও। এরপরই তড়িঘড়ি টুর্নামেন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বোর্ড। এরপরই তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ করেই সেখানে চলে আসেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। আসেন অন্যান্য বিদেশিরাও। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি চেন্নাই এবং মুম্বই। টুর্নামেন্টের অন্যতম সফল দুই দলের যুদ্ধ দেখতে হাপিত্যেশ করে বসেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমিরাও।
কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই অবাক হয়ে যান অনেকে। কারণ মুম্বইয়ের প্রথম একাদশে ছিলেন না দলের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাহলে কী দু’জনেরই চোট? তাহলে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হবে? এই নিয়ে চিন্তা শুরু হয়ে যায়। যদিও পরে জানা যায়, দুজনকেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। যদিও টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে হলেও শুরুটা বেশ দুর্দান্তই করেছিল মুম্বই। ট্রেন্ট বোল্ট এবং অ্যাডাম মিলনে-দুই পেসারের দাপটে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে চেন্নাই শিবির। শূন্যরানেই ফিরে যান দু’প্লেসিস, মঈন আলি। শূন্যরানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন অম্বাত রায়াডু। এছাড়া রায়না ৪ রানে এবং অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩ রানে আউট হন। সেসময় চেন্নাইয়ের রান ছিল ৬ ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ২৪ রান। কিন্তু সেখান থেকেই হলুদ জার্সিধারীদের রান পৌঁছায় ১৫৬ রানে। সৌজন্যে ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াডের ৫৮ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৯টি চার এবং চারটি ছয় মারেন তিনি। শেষদিকে তাঁকে কিছুটা সাহায্য করেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং ডোয়েন ব্র্যাভো। মুম্বইয়ের পক্ষ থেকে দুটি করে উইকেট পান অ্যাডাম মিলনে এবং ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া শততম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নামা বুমরাহও দুটি উইকেট পান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রোহিতের অভাব বোধ করতে থাকে মুম্বই। প্রথম থেকেই সেকরকমভাবে কোনও বড় পার্টনারশিপই গড়ে তুলতে পারেনি নীলজার্সিধারীরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। আর শেষপর্যন্ত তারই খেসারত দিতে হল মুম্বইকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৩৬ রানেই থেমে যায় কায়রন পোলার্ডদের ইনিংস। ৫০ রানে শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সৌরভ তিওয়ারি। কিন্তু অপরদিক থেকে তেমন কোনও সাহায্যই পাননি তিনি। ফলে দিনের শুরুটা খারাপ খেললেও শেষ হাসি হাসল সেই ধোনির দলই। শুধু তাই নয়, লিগ টেবিলে শীর্ষেও উঠে এল চেন্নাই। তবে এর পাশাপাশি রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পাণ্ডিয়াকে প্রথম একাদশে না খেলানো নিয়েও কিছুটা প্রশ্ন উঠছেই।