প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল পাঠানো হবে, পরিকল্পনা রাজ্যর
এখন থেকে কলকাতা ও শহরতলির বাইরে রাজ্যের সর্বত্র তিনমাসের পরিবর্তে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল আসবে। এই বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর। এতে যেমন সাধারণ মানুষের অনেকটা বিল মেটানোর বোঝা কমবে, তেমনই বিল না-মেটানোর প্রবণতাও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও, কার্যক্ষেত্রে এখনই এই সুবিধা পাবেন না সাধারণ গ্রাহকরা। রাজ্যের সর্বত্র পরিকাঠামো তৈরির পরেই তা কার্যকর হবে।
সারা দেশেই গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসে মিটিয়ে অভ্যস্ত। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সিইএসসির গ্রাহকরাও প্রতি মাসে বিল মেটান। বার্নপুর ও কুলটির মতো কিছু এলাকা বাদ দিলে রাজ্যের বাকি জায়গায় তিনমাস অন্তর বিল পাঠায় রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। তা নিয়ে দীর্ঘ্দিন অসন্তোষ রয়েছে। একসঙ্গে অনেক বেশি টাকা বিল বাবদ মেটাতে হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রায়শই সরব হন গ্রাহকরা। তাঁদের অসন্তোষের কথা মেনে নিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরও।
অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুরেশ কুমার ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনকে প্রতিমাসে বিল পাঠানোর বিষয়ে যে চিঠি লিখেছেন, তাতে তার উল্লেখ করেছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, অনেক গরিব মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিকের তরফে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁদের বক্তব্য, তিনমাসের পরিবর্তে প্রতি মাসে বিল এলে তাঁদের আর্থিক বোঝা বাড়ে না। তবে এই পদ্ধতি চালু করতে সরকারের যে খরচ বাড়বে, সেকথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বিল মেটানোর প্রবণতাও বাড়বে বলে আশাবাদী সরকার। এখন যে পরিমাণ বিল অনাদায়ী থেকে যাচ্ছে, তাতে লাগাম পরানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মাসে মাসে বিল পাঠাতে হলে। সেই দাবিকে মান্যতা দেওয়ায় আমরা খুশি। তবে সেই কাজ করতে গেলে সরকারের খরচ বাড়বে। সেই খরচ যেন গ্রাহকের থেকে না আদায় করা হয়, আমরা সেই আশা রাখব।