শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে মানতে চাইছেন না ২৮ বিজেপি বিধায়ক?
জানা গিয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে বিরোধী দলনেতা পথ থেকে সরানোর জন্য একজন হয়েছেন তারা।
Authored By:

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার ক্ষমতায় বিজেপি আসবে ভেবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। এরপরে বহু চেষ্টা করেছিলেন রাজ্য সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে নিজে সেই পথে বসার। বাংলার আদি বিজেপি নেতাদের তীব্র আপত্তি ও বিরোধিতায় সম্ভব হয়নি তাও। এমনকি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশকে কনভিন্স করিয়ে রাজ্যে বিরোধী দলনেতার পদে বসার পরেও বাংলার ৭৭ বিজেপি বিধায়কের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী কে বিরোধী দলনেতা পদে সমর্থন জানিয়েছিলেন মাত্র ১৬ জন বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই তাই এরপর থেকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে বাংলার বিজেপি বিধায়কের যে সমস্ত বৈঠকে অথবা বিধানসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক জারি করেছেন শুভেন্দু তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সমস্ত বিজেপি বিধায়কের দেখা পাওয়া যায়নি।
এবারে রাজ্যসভার ফাঁকা হওয়া আসনে সুস্মিতা দেব বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিজেপি বাংলা থেকে প্রার্থী দেবে বলে প্রথমে ঠিক করলেও আজও সকালে বাধ্য হয়েই শুভেন্দু অধিকারীর নিজে টুইট করে লেখেন রাজ্যসভায় আমরা প্রার্থী দিচ্ছি না তার কারণ ফলাফল কি হবে তা পূর্বনির্ধারিত। আমরা এখন ভবানীপুর আসনে অনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে অনির্বাচিত রাখার জন্য লড়াই করব।
কিন্তু রাজ্যসভায় প্রার্থী না দেওয়ার পিছনে আগে থেকেই পরাজয় স্বীকার করে নেওয়ার মূল কারণ বাংলার ২৮ জন বিজেপি বিধায়ক একযোগে বিরোধিতা করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর। জানা গিয়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কে বিরোধী দলনেতা পথ থেকে সরানোর জন্য একজন হয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ।