যক্ষ্মার পরীক্ষাই ধরবে করোনা
করোনা নতুন। টিবি অবশ্য পুরোনো। ফলে, ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্মা বা মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিউবারকিউলোসিস (এমডিআর টিবি) ধরার ডায়াগনস্টিক পরিকাঠামো যথেষ্টই মজবুত রাজ্যে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোয় তো বটেই, রাজ্যের প্রায় সব জেলা হাসপাতাল, এমনকী বহু মহকুমা স্তরের হাসপাতালেও মজুত সেই পরীক্ষার যন্ত্রপাতি, কিট ও রাসায়নিক। এ বার সেই পরিকাঠামোই কাজে লাগিয়ে কোভিড পরীক্ষার ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে রাজ্যে।
নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট বা ন্যাটের সাহায্যে জিন পরীক্ষা করে দেখা হয়, যক্ষ্মার জীবাণুটি সাধারণ নাকি ওষুধ-প্রতিরোধী। ট্রু-ন্যাট ও সিবি-ন্যাট নামে দু’টি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই জীবাণুর জিন বিশ্লেষণ করা হয়। আর ওই একই পদ্ধতিতে নভেল করোনাভাইরাসের জিন বিশ্লেষণও সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
তাই, রাজ্যের সিদ্ধান্ত হল, প্রথাগত আরটি-পিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন) পরীক্ষার মাধ্যমে যে ভাবে কোভিড টেস্ট চলছে, তা চলবে। পাশাপাশি, এখন এই ন্যাট টেস্টও করা হবে। এই পরীক্ষার পরিকাঠামো যেহেতু আরটি-পিসিআর টেস্টের মতো হাতে গোনা কিছু জায়গায় নয়, বরং প্রায় সব ক’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জেলা ও মহকুমা হাসপাতালেও আছে, তাই ন্যাট পরীক্ষার মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার সুযোগ অনেকটাই সম্প্রসারিত হবে।
এই রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না, এমন চর্চা প্রায় গোড়া থেকেই বিভিন্ন মহলে হচ্ছিল। তবে টেস্টের সংখ্যা ও কেন্দ্র বাড়ানোর তোড়জোড়ও শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। ফলে, ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা পরীক্ষার মোট সংখ্যা যেখানে ছিল ২০৯৫, সেখানে শুধু ১ মে তারিখেই টেস্টের সংখ্যা ছিল ২০৪১। রবিবার দৈনিক টেস্টের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে হয়েছে ৪০৪৬।
বিশেষজ্ঞদের আশা, ন্যাট পরীক্ষা সর্বত্র শুরু হলে এক ধাক্কায় দৈনিক টেস্টের সংখ্যা সহজেই অনেকটা বেড়ে যাবে।