রাজ্যজুড়ে ভারী বর্ষণের ইঙ্গিত, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি প্রশাসনের
লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। কলকাতা সঙ্গে কোন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে ৬০০ রিলিফ ক্যাম্প করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির জেরে রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এক লক্ষ কুড়ি হাজার মানুষকে বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে সরানো হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর।
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁচটি ব্লক। বিশেষ করে একটি লেখায় নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ শীর্ষে। তাঁদের উদ্ধারের পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় তোড়জোড় শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কারণ, মৌসুমি অক্ষরেখা তো সক্রিয় আছেই। তার দোসর হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। দুইয়ের মিলনে রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
গতকাল বুধবারই বৃষ্টি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য সচিব (Chief Secretary) হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (HK Dwibedi)। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসক ও কলকাতা পুরসভার কমিশনারও বৈঠকে যোগ দেন। অতিবৃষ্টির জেরে কোথায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বাসিন্দাদের দুর্ভোগ মেটাতে কী ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এসবই পর্যালোচনা করেছেন মুখ্য সচিব।
সূত্রের খবর, আসন্ন নির্বাচন এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনভাবেই যাতে এই সব এলাকায় জল না জমে সেটা দেখতে হবে। জল জমলে পাম্প ব্যবহার করে জল বের করতে হবে। কলকাতাতে এনডিআরএফ টিম রাখতে হবে। নিউটাউন, বিধাননগর একাকার জল জমা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন মুখ্য সচিব। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতি মুকাবিলা যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে নদীপথ গুলি পরিদর্শন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকরা। ত্রাণ সামগ্রী পর্যাপ্ত মজুত রাখা, প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত উদ্ধারের কাজ সম্পন্ন করার পরামর্শ মুখ্য সচিবের।