বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে আইনের শাসন নেই, অসমের ঘটনায় আক্রমণ মমতার
অনুপ্রেবেশকারীদের উচ্ছেদ করাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয় ওঠে অসম। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে দুজন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। আর এই ঘটনাকে তুলে ফের একবার বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তাঁর।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের একবার ভোটের ময়দানে। নন্দীগ্রামে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছেন ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে মমতা। তবে প্রত্যেকদিনই মমতা টার্গেট করছেন বিজেপিকে। আজ শুক্রবার ভবানীপুরে প্রচারে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেও ফের একবার বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
শুধু তাই নয়, অসমের ঘটনাকে সামনে তুলে ধরে আক্রমণ নেত্রীর। তিনি বলেন, এনআরসির নামে মানুষ খুন করেছ! কিন্তু এরপরেও শিক্ষা নেই। গুতিয়ে গুতিয়ে মানুষকে খুন করে সেই সমস্ত ডেডবডির উপর নাচছ? সেই সময় মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না? আর বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে?
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ধোলপুর গরুখুঁটি এলাকার পরিস্থিতি হিংসাত্মক ঘটনায় পরিণত হয়, যখন সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিছু প্রতিবাদকারী ইট-পাথর ও তীক্ষ্ণ অস্ত্র দিয়ে পুলিশ ও আধিকারিকদের ওপর হামলা করে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায় আত্মরক্ষার খাতিরে। যার জেরে ২ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। আর এই ঘটনাকে তুলে ধরেই বিজেপিকে আক্রমণ মমতার। অন্যদিকে এদিন দিল্লির ঘটনাকে তুলে ধরেও আক্রমন সানান মমতা। বলেন, আজও তো দিল্লিতে বিচার চাইতে গিয়ে তিনজন মারা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে কোনও আইন রয়েছে না বিহারে কোনও আইন আছে? প্রশ্ন তৃণমূল প্রার্থীর। বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যে আইন নেই বলেও দাবি তাঁর।
আর তা বলতে গিয়েই রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা তুলে ধরেন নেত্রী। বলেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যে হিংসা, মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী, নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব। বিজেপি হিংসায় উন্মত্ত। নিত্য নিঠুর হত্যা। এত পাশবিক! এত দানবিক!”
অন্যদিকে শুক্রবার সকাল থেকে ভবানীপুরে ঝোড়ো প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবড়েওয়ালও। ডোর টু ডোর প্রচার করছেন। মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনছেন। আশ্বাস দিচ্ছেন জিতলে দ্রুত সমস্যা সমধানের। তবে ভবানীপুর নির্বাচন নিয়ে আজ আদালতের তোপের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল প্রশ্ন করেছেন, কেন ভবানীপুরে উপনির্বাচন করার প্রয়োজন হল। আদালতের প্রশ্নের উত্তরে তেমন সদুত্তর দিতে পারে কমিশন।