কলকাতার কোভিড সংক্রমণের হার আধ শতাংশেরও কম, বলছে সেন্টিনাল সার্ভের রিপোর্ট
১৩৫ শতাংশের বেশি প্রথম ডোজ টিকাকরণ! দেশে সর্বোচ্চ। তার ফলও পেল কলকাতা। পজিটিভিটি কমে দাঁড়াল একের নীচে। দশমিক ৫ শতাংশেরও কম—মাত্র ০.৪৪ শতাংশ। এমনই আশাব্যঞ্জক চিত্র ফুটে উঠল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পঞ্চম সেন্টিনাল সার্ভেতে। তৃতীয়ের (০.৭ শতাংশ) তুলনায় চতুর্থ সেন্টিনাল সার্ভেতে রাজ্যের পজিটিভিটি অনেকটাই বেড়েছিল (১.৫৬ শতাংশ)। টিকাকরণ যত বাড়ছে, শহরবাসীর মধ্যে পজিটিভিটিও কমছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। দপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, নিঃসন্দেহে টিকাকরণ পজিটিভিটি কমিয়েছে। কিন্তু এই ভেবে নিশ্চিন্ত থাকলে প্রাক উৎসব বা উৎসবের মরশুমে বিপদ আসতে বাধ্য। তাই করোনা বিধি এবং মুখে মাস্ক আগেরকার মতোই হোক ‘মাস্ট’।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার পজিটিভিটি কমলেও, সেন্টিনাল সার্ভে পাঁচ অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পজিটিভিটি আরও সতর্ক হওয়ার কথাই বলছে। ‘কমলা’ এবং ‘লাল’ চিহ্ন দিয়ে ১৩টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে সার্ভেতে। সেন্টিনাল সার্ভে চারে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের করোনা পজিটিভিটি ছিল এক শতাংশ। পঞ্চম সেন্টিনাল সার্ভেতে তা বেড়ে হয়েছে ১.২৭ শতাংশ। চতুর্থ রাউন্ডের সমীক্ষায় যেখানে শূন্য থেকে একের মধ্যে পজিটিভিটি ছিল ১৬টি জেলার, সেখানে পঞ্চম রাউন্ডে ওই পরিমাণ পজিটিভিটি রয়েছে মাত্র ১২টি জেলার। চতুর্থ রাউন্ডে ১১টি জেলার পজিটিভিটি ছিল এক থেকে তিনের মধ্যে। পঞ্চম সেন্টিনাল সমীক্ষাতেও তাই।
প্রধান দুশ্চিন্তার বিষয় এখন তিনের বেশি পজিটিভিটি। চতুর্থ সমীক্ষায় তিনের বেশি পজিটিভিটি ছিল মাত্র একটি জেলার—পূর্ব মেদিনীপুরের। সেখানে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পঞ্চম সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনের বেশি এই হার রয়েছে পাঁচটি জেলার। উত্তর ২৪ পরগনা, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা, বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। টিকাকরণের সাফল্য কেমন মিলছে? চতুর্থ সার্ভের সময় ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের মধ্যে টিকার সাফল্য ছিল ৬৪ শতাংশ। ওই সমীক্ষার সময় ৪৫ উর্ধ্বদের মধ্যে এই সাফল্য ছিল ৬৬ শতাংশ। সেখানে পঞ্চম সেন্টিনাল সার্ভের সময় এই দুই বয়সসীমার মানুষের মধ্যে টিকাকরণের সাফল্য বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ এবং ৭৯ শতাংশ। পঞ্চ সার্ভেতে সামগ্রিকভাবে টিকায় সাফল্য পাচ্ছেন ৭৪ শতাংশ মানুষই।