খাদ্য বন্টনের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাকে করবে তৃণমূল? জল্পনা দিল্লিতে
লোকসভা এবং রাজ্যসভায় দলের সদস্য সংখ্যার বিচারে একাধিক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতির পদ ধরে রাখা কংগ্রেসের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে তৃণমূলের প্রাপ্য হিসেবে একটি সংসদীয় কমিটির সভাপতি কাকে করা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সাধারণত দল যাঁর নাম প্রস্তাব করে পাঠায়, সেটিই গৃহীত হয়। যদিও সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কে হবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ লোকসভার স্পিকার বা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এক্তিয়ারে। তাই তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলতে দলে থেকেও রাজ্যে বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপির মঞ্চে দেখা দক্ষিণবঙ্গের এক প্রবীণ এমপিকে সভাপতি করার জন্য গেরুয়া শিবির থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। যদিও স্পিকার ওম বিড়লা শেষমেশ কী করবেন, সেটাই দেখার। উল্লেখ্য, পরপর দুবার খাদ্য ও গণবন্টন সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটির মেয়াদ হয় এক বছর করে। সম্প্রতি এর মেয়াদ শেষ হয়েছে।
তাই মেয়াদ শেষের পর ২৪ টি সংসদীয় কমিটির নতুন চেহারা কী হয়, তা জানতে মুখিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি।
কংগ্রেসের কাছে এতদিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতির পদ ছিল। স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আনন্দ শর্মা। তথ্য-প্রযুক্তিতে শশী থারুর। পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে জয়রাম রমেশ। বিভিন্ন মন্ত্রক সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বাইরে সংসদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান রয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। মন্ত্রকের কাজকর্ম সংক্রান্ত কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কাউকেই বদল করার প্রস্তাব নেই।
তবে তথ্য-প্রযুক্তির চেয়ারম্যানের পদ কেন থাকবে কংগ্রেসের হাতে? ওদের তো এমপির সংখ্যা আগের চেয়ে কমে গিয়েছে? এমনই দাবি তুলে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। বর্তমানে লোকসভায় কংগ্রেসের ৫২ এবং রাজ্যসভায় ৩৩ জন এমপি রয়েছেন। অথচ ২০১৯ সালের আগে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫৬। তাই সংখ্যা কমে যাওয়ার পরেও কেন একাধিক কমিটির সভাপতির পদ পাবে কংগ্রেস? তা নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।