সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস, ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম
ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের (Petrol-Diesel) দাম। বেশ কয়েকদিন থমকে থাকার পর ফের ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির মূ্ল্য। জানা গিয়েছে, দু-তিন সপ্তাহ পর যেমন পেট্রলের দাম বেড়েছে। তেমনই গত চারদিন ধরে লাগাতার ডিজেলের দামও বেড়ে চলেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশজুড়ে লিটারপিছু ১৯ থেকে ২৫ পয়সা বেড়েছে পেট্রলের দাম। অন্যদিকে, ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারপ্রতি ২৫ পয়সা। কলকাতাতেও ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির মূল্য। এদিন শহরে এক লিটার পেট্রলের দাম ২৫ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০১.৮৭ টাকা। ডিজেলের দামও ২৫ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯২.৬৭ টাকা। এছাড়া রাজধানী দিল্লিতে পেট্রলের দাম লিটারপিছু ১০১ টাকা ৩৯ পয়সা এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৮৯.৫৭ টাকা। একইভাবে মুম্বইয়েও জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। দেশের বাণিজ্যনগরীতে এক লিটার পেট্রলের দাম ১০৭.৪৭ টাকা। ডিজেলের দামও সেখানে ১০০ ছুঁই ছুঁই। এক লিটার ডিজেল বিকোচ্ছে ৯৭.২১ টাকায়।
চলতি বছর পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর নিয়মিত বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানি মূল্য। করোনার মধ্যে আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা সাধারণ মানুষের কপালের ভাঁজও গভীর হয়েছে। এরপর গত ২২ আগস্ট সামান্য কমেছিল দাম। কিন্তু ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল। মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনার জন্য শীঘ্রই বৈঠকে বসতে চলেছে পেট্রোলিয়াম রপ্তানি দেশগুলি। করোনা কালে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখতে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
তবে এর মধ্যেই পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটি-র আওতাভুক্ত করার জন্য বৈঠকে বসেছিল জিএসটি কাউন্সিল। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কিন্তু এই প্রস্তাবের বিরোধিতায় একযোগে সরব হয় বেশ কয়েকটি রাজ্য। বিরোধিতায় অংশ নেয় খোদ বিজেপিশাসিত একাধিক রাজ্যে। তাই আপাতত পেট্রল ও ডিজেল জিএসটির আওতার বাইরেই থাকছে। যার জেরে জ্বালানির দাম কমার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।