হচ্ছে টা কী? বিভাগে ফিরে যান

তাপস পালের জন্মবার্ষিকীতে দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আলাপচারিতায় নন্দিনী পাল

September 29, 2021 | < 1 min read

তাপস পাল। উত্তম কুমার পরবর্তী যুগে বাংলা সিনেমা জগতের এক উল্লেখযোগ্য নাম। প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিতের সমসাময়িক এই অভিনেতা নব্বইয়ের দশকে বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম মেগাস্টার ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে চিত্রতারকাদের যোগদানের যে ঢল আজকাল দেখা যায়, তার অন্যতম অগ্রণী ছিলেন তাপস পাল। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বিধায়ক ও সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

১৯৮০ সালে জীবনের প্রথম সিনেমা ‘দাদার কীর্তি’ তে অভিনয় করেই বাঙালির মন জয় করে নেন। এই ছবিতে তার নায়িকা ছিলেন মহুয়া রায় চৌধুরী। কেদার চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। ‘দাদার কীর্তি’র পর ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ নামের আরেকটি ছবিতে দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে অভিনয় করে সাড়া ফেলে দেন তিনি।

পরের ছবিটিও সুপারহিট হয়। ১৯৮১ সালে ‘সাহেব’ ছবিতে ভাল অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান তাপস পাল।

এরপর দীর্ঘ সময় বাংলা সিনেমায় রাজত্ব করেছেন এই অভিনেতা। ‘সুরের ভুবনে’, ‘গুরু দক্ষিণা’, ‘মায়া মমতা’, ‘সমাপ্তি’, ‘চোখের আলো’, ‘অন্তরঙ্গ’, ‘সাহেব’, ‘পর্বতপ্রিয়’, ‘দিপার প্রেম’, ‘মেজ বউ’, ‘পথভোলা’, ‘আশির্বাদ’, ‘পরশমণি’, ‘সুরের আকাশ’, ‘শুধু ভালোবাসা’সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সেই সময় তার বেশিরভাগ সিনেমার নায়িকা ছিলেন দেবশ্রী রায়। শেষের দিকে দেবের কয়েকটি সিনেমাতেও দেখা যায় তাকে।

কলকাতা ছাড়াও তিনি অভিনয় করেছেন বলিউডের সিনেমাতেও। মাধুরী দীক্ষিতের প্রথম ছবিতে নায়ক ছিলেন তাপস। ১৯৮৪-তে মাধুরীর বিপরীতে ‘অবোধ’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। ওই ছবিতে তাপস পাল মাধুরীর স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটিতে মাধুরীর চরিত্রের নাম ছিল গৌরী আর তাপস পালের নাম ছিল শঙ্কর।

শেষজীবনে প্রচারের আলো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন অভিনেতা-সাংসদ।

আজ তাপস পালের জন্মদিনে তাঁরই সহধর্মিণী নন্দিনী পালের সাথে একান্ত আলাপচারিতা করল দৃষ্টিভঙ্গি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Tapas Pal, #birth anniversary, #HTK, #nandini pal

আরো দেখুন