ভারতীয় ভূখন্ডে ঢুকে ভাঙচুর চীন সেনার, মুখে কুলুপ মোদী সরকারের
লাদাখের(Ladakh) পর এবার উত্তরাখণ্ড(Uttarakhand)। থামার নাম নিচ্ছে না চীনা সেনার(Chinese army) আগ্রাসন। লাদাখ পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতেই এবার উত্তরাখণ্ডে সীমান্ত পেরিয়ে বারাহতি এলাকায় অনুপ্রবেশ করল চীনের সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয় প্রায় ১০০ জন সেনা ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে রীতিমতো ধ্বংসলীলা চালায়। ভেঙে দেওয়া হয় একটি ফুট ব্রিজ, ভাঙচুর চালানো হয় সেনার একাধিক নির্মাণকার্যে। তবে এত কিছু ঘটে গেলেও চীন সেনার সঙ্গে কোনো রকম সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরাখণ্ডের চীনের সেনাবাহিনীর এই অনুপ্রবেশ ঘটেছিল ৩০ আগস্ট ২০২১ সালে। তবে এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে উত্তরাখণ্ডের মাটিতে ছিল চীনের সেনা। যদিও ভারতীয় সেনার কানে এই খবর পৌঁছানোর পর তারা ঘটনাস্থলে যেতেই এলাকা ছাড়ে চীনের বাহিনী। জানা গিয়েছে প্রায় ৫৫ টি ঘোড়ায় করে ১০০ জন চীনা সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে। রীতিমতো তান্ডবলীলা চালানোর পর এলাকা ছেড়ে চলে যায় তারা। তবে এই ঘটনায় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও, একের পর এক আগ্রাসন মূলক কর্মকাণ্ড সত্বেও কেন ভারত চীনের বিরুদ্ধে নরমপন্থা নিয়ে চলছে?
তবে তার চেয়েও চমকপ্রদ বিষয় হলো এটাই যে প্রায় একমাস আগে ঘটনাটি ঘটলেও এতদিন কেন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি। এই ঘটনায় অবশ্য বিরোধিতা সংবাদমাধ্যমের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তৃণমূল নেতা কৃষাণু মজুমদার এ প্রসঙ্গে এক টুইটে জানিয়েছেন, একমাস আগে ১০০ জন চীন সেনা জওয়ান ভারতে প্রবেশ করল এবং রীতিমত ধ্বংসলীলা চালালো অথচ গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ নিরব। মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন যুদ্ধ বিসারদরাও।