উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

দিনহাটায় উপনির্বাচনে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল

October 1, 2021 | 2 min read

বিধানসভার উপনির্বাচনে দিনহাটা আসনটি এবার তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। তাই ওই আসনটি পুনরুদ্ধারে তৃণমূল সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। আর সেই লক্ষ্যে মহালয়ার আগেই জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসতে চলেছে। ভোটের দিন ঘোষণা হতেই দিনহাটায় তৃণমূল রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে। দলের জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান, সমস্ত শাখা সংগঠনের পদাধিকারী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠক করবেন। বৈঠকেই দিনহাটা উপনির্বাচনের ‘স্ট্র্যাটেজি’ ঠিক করা হবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব ব্লকের নেতৃত্বকে দিনহাটা উপনির্বাচনে কাজে লাগানো হবে। তবে দিনহাটায় দলের গোষ্ঠীকোন্দলকে সামাল দিয়ে তৃণমূল এই কাজটি কতটা সুষ্ঠুভাবে করতে পারবে, তার উত্তর অবশ্য নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই বোঝা যাবে। তবে তৃণমূলের ওই বৈঠক নিয়ে বিজেপি বা ফরওয়ার্ড ব্লক চিন্তিত নয়। তাদের পাল্টা দাবি, দিনহাটা উপনির্বাচন নিয়ে তাঁরা নিজেদের মতো করে ময়দানে ঝাঁপাচ্ছেন।  তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, আমরা প্রার্থীর নাম ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছি। ৬ অক্টোবরের আগেই আমরা জেলায় দলের পদাধিকারী ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসব। কোচবিহার জেলায় এবার একটিমাত্র আসনেই নির্বাচন। তাই আমরা সর্বস্তরের নেতৃত্ব সেখানে ঝাঁপাব। ওই বৈঠকে আলোচনা করে নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করব। নির্বাচনের প্রতীক সামনে আসলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকে না। 

বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, দিনহাটা উপনির্বাচন নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে। জেলার সমস্ত পদাধিকারী ও দিনহাটার নেতৃত্ব সেখানে ছিলেন। নেতৃত্ব বিভিন্ন মণ্ডলে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে। তৃণমূল যতই স্ট্র্যাটেজি বানাক, ওই আসনটি আমাদের হয়েছিল, আমদেরই থাকবে। ফব’র জেলা সভাপতি দীপক সরকার বলেন, বিভিন্ন ইস্যু঩তে তৃণমূল ও বিজেপির উপরে মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে আখেরে কোনও লাভ হবে না। দিনহাটা উপনির্বাচন নিয়ে আমরাও যথেষ্ট তৎপর। বৃহস্পতিবারও আমরা দিনহাটায় সভা করেছি।

শনিবার জেলা বামফ্রন্টের বৈঠক আছে। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, দলের প্রার্থী যেই হোন না কেন, দলের প্রতীককে সামনে রেখে তৃণমূল স্তর থেকে ভোটকে ঘরে তোলার জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে জেলার নেতৃত্বকে তারা এ কাজে লাগাতে চাইছে। ক্ষেত্র বিশেষে আলাদা আলাদা দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কীভাবে তাঁদের কাজে লাগানো হবে, তা আসন্ন বৈঠকে আলোচনা হবে। কোচবিহারে জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথবাবুর অফিসেই ওই বৈঠকটি হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ফব’ও নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলকে কাঠগোড়ায় তুলে নিজেদের দিকে ভোট টানার জন্য রূপরেখা ঠিক করছে। বিজেপি তাদের এই জেতা আসনটি ফের নিজেদের দখলে রাখার জন্যও তৎপরতা শুরু করেছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#tmc, #dinhata, #By Election

আরো দেখুন