চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রাথী খুঁজে পারছে না বিজেপি? জল্পনা
শান্তিপুরের উপনির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। শান্তিপুর ছাড়া আরও তিন কেন্দ্র অর্থাৎ গোসাবা, খড়দহ, দিনহাটায় ঘোষণা হয়েছে উপনির্বাচন। এই চার কেন্দ্রে ৩০ অক্টোবর ভোট এবং ভোট গণনা ২ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই শান্তিপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা ভোট প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। অথচ বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। এ কী কাণ্ড! হারের ভয় কেউই তাদের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চাইছে না।
দারুন সঙ্কটে গেরুয়া শিবির, ভোট প্রচারে ব্যাকফুটে। এখানে রেকর্ড ভোটে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বলে মনে করছে তথ্যভিজ্ঞ মহল। এবার হরিপুর, গয়েশপুর, বাগআঁচড়া এলাকায় কর্মী বৈঠক করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রত্না ঘোষ কর, শহর সভাপতি বৃন্দাবন প্রামাণিক, ব্লক সভাপতি নিমাই বিশ্বাস, নদীয়ার সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডুরা। বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, শান্তিপুরে ভোটে জিতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। ১৫ দিনের মাথায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। সংসদে কথা দেন কেন্দ্রের টাকা নিয়ে এসে নদী ভাঙন রুখবেন, কিন্তু সংসদে এ নিয়ে একটি কথাও বলেননি তিনি। ১৬ ও ২৪ নং ওয়ার্ড এবং বেলঘরিয়া ১, বেলঘরিয়া ২, হরিপুর ও গয়েশপুর ভাঙনের কবলে। সংসদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জবাব দিতে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ।
রত্না ঘোষ বলেন, রেকর্ড ভোটে জিতবেন আমাদের প্রার্থী। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন ও নানা প্রকল্পের উপকৃত মানুষ তৈরি হয়েই আছেন। বিজেপির লোকজন দলের ভাঙনে দিশেহারা। মোহভঙ্গ হওয়ায় দলে দলে চলে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।