রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যে বন্যা কবলিত ২২ লক্ষ মানুষ, জানালেন মুখ্যসচিব

October 1, 2021 | 2 min read

দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর তার জন্য সরাসরি ডিভিসি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফের ম্যানমেড বন্যার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ খাল এবং বাঁধ সংস্কার না করার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আর এরপর রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। তিনি এদিন জানিয়েছেন, মাইথন ব্যারেজ থেকে ৩০ তারিখ ৪৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয় বেলা বারোটায়। এক ঘন্টা কাটতে না কাটতে বেলা একটায় এক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়। রাত ৮.৩০-এ সেই পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার। পরের দিন সকাল মানে আজ ৮.১৫ মিনিট থেকে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কিউসেক জল ধারাবাহিক ভাবে ছাড়া হচ্ছে।

ডিভিসি-র উপর দায়ভার চাপিয়ে মুখ্যসচিব জানান, ওরা (DVC) ১ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। ২৫ হাজার ছাড়েনি, তা কিছুক্ষণ আগেই জানিয়েছে। মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যে বন্যা হয়েছে। অনেক এলাকা এখনও জলমগ্ন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে সম্প্রতি দু’বার মানুষকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ ও অগস্টের প্রথম দিকে এমনটা হয়েছিল। Dvc-র সিস্টেম থেকে অত্যধিক জল ছাড়ার জন্য সেই বন্যা ছিল। সেই বন্যার জল অনেক জায়গায় এখনও নামেনি। তার মধ্যেই আবার বন্যা হয়ে গেল।

পরিসংখ্যান দিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, আরামবাগে পুরসভা এলাকায় ২ টি বাঁধ ভেঙেছে। জল যখন নামছে, খানাকুল ২ নম্বর ব্লকে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাঁকুড়ার বড়জোড়া,সোনামুখীতেও জল বেড়েছে। হাওড়ার ১০টি জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। সিকাতিয়া ব্যারেজ আছে, সেখান থেকে ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ৩০ তারিখ। রাত ৩ টের সময়। সেটা সকাল ৯টার সময় ১ লাখ ২০ হাজারে গিয়ে দাঁড়ায়। অজয় নদীর উপর চাপ বেড়েছে। পশ্চিম বর্ধমান,আসানসোল টাউন ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।

মুখ্যসচিব জানান, আসানসোল, বারাবনি, রানীগঞ্জে সেনা নামানো হয়েছে।তিন ক‌লাম আর্মি পানাগড় থেকে আসানসোলে পাঠাতে হয়েছে।২২ লক্ষের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত। দামোদর, দ্বারকেশ্বরী প্রভৃতি নদী বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। যে পরিমান জল ছাড়া হয়েছে তার ধারন ক্ষমতা নেই আমাদের নদীগুলোতে। এক লক্ষের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। চার লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। দেড় লক্ষ মানুষ ত্রাণ শিবিরে। ২৫টি এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়ছে। পাশাপাশি আরও আটটা টিম অন্য রাজ্য থেকে আনা হয়েছে।

বন্যা কবলিত জেলাগুলির জন্য একজন করে আইপিএস-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।কোন জেলায় কোন আইএএস:

পশ্চিম বর্ধমান – রাজেশ পাণ্ডে

হুগলি – মনোজ আগরওয়াল

বাঁকুড়া-অভিনব চন্দ

বীরভূম-বিজয় ভারতী

পশ্চিম মেদিনীপুর – এম ভি রাও

হাওড়া – মনিশ জৈন

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Flood Situation

আরো দেখুন