জল্পনা বাড়িয়ে সুকান্তর সংবর্ধনায় গরহাজির লকেট
বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে কলকাতায় স্থায়ী ঠিকানা পেলেন সুকান্ত মজুমদার। তেঘরিয়ায় ভিআইপি রোডের উপর এক অভিজাত আবাসনে উঠে এলেন বালুরঘাটের এমপি। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই পার্টির তরফে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক আবাসন ভাড়া নিয়েছিল বিজেপি। সুকান্তবাবুর আগে এই ফ্ল্যাটেই থাকতেন সর্বভারতীয় নেতা শিবপ্রকাশ। ভোটে গোহারা হেরে আরএসএস’র এই নেতা অনেক আগেই পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছিলেন। এবার সেই ফ্ল্যাটেই আস্তানা গাড়লেন সুকান্ত মজুমদার। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ওইদিনই বালুরঘাট থেকে ট্রেনে করে কলকাতায় এসে শিয়ালদহে রেলের গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন। কিছুদিন আগে তাঁর নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী যুক্ত হয়। তারপর কয়েকদিন তিনি পোর্টের গেস্ট হাউজে ছিলেন। এবার পাকাপাকিভাবে তিন কামরার এই ফ্ল্যাটে উঠে এলেন। এদিকে, সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর শুক্রবারই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। এদিন বিধানসভায় ৬৪ জন দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে সাংগঠনিক ও পরিষদীয় বিষয়ে আলোচনা সারেন সুকান্ত। এদিন ইজেডসিসিতে সুকান্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। যদিও লকেট জানিয়েছেন, সাংগঠনিক কারণে তিনি রাজ্যের বাইরে। তাই অনুষ্ঠানে আসতে পারিনি।
পদ্ম প্রতীকে জয়ী একাধিক বিধায়ক কেন দলত্যাগ করছেন, বৈঠকে তা নিয়ে পরোক্ষে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের এই শীর্ষ নেতা। এদিন তিনি কার্যত বিরক্তি নিয়ে বলেছেন, যাঁরা ভিন দল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন তাঁদের আমরা খোলা মনে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকমাস থেকেই কেন তাঁরা আবার ফিরে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত। এদিনই রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দলত্যাগ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে বালুরঘাটের এমপি এদিন দলীয় বিধায়কদের স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল-বিজেপি এই দুটি পার্টি থাকবে। অর্থাৎ, তিনি বলতে চেয়েছেন বাংলা থেকে বাম-কংগ্রেস কার্যত মুছে যাবে।