২০০ দিনের লড়াইয়ে সাফল্য! অগ্নিদগ্ধ কিশোরীকে বাঁচাল ন্যাশনাল

প্রদীপের আগুনে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক কিশোরীকে নতুন জীবন দিল কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ।

October 3, 2021 | < 1 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi

প্রায় ২০০ দিনের লড়াই। পুজো দিতে গিয়ে প্রদীপের আগুনে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক কিশোরীকে নতুন জীবন দিল কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা হাল না ছেড়ে লাগাতার ড্রেসিং, স্কিন গ্রাফটিং এবং জরুরি অন্যান্য চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তুলেছেন তাকে। কখনও স্টোরে ওষুধ না থাকলে অভাবী পরিবারের মেয়েটির জন্য নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে  ওষুধ, ইঞ্জেকশনও কিনে দিয়েছেন তাঁরা।  

হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই কিশোরীর নাম নমিতা মণ্ডল। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোবিন্দপুরে। গত বছরের শেষ দিকে ঠাকুরের জন্য প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে শরীরের উপরের অংশ মারাত্মকভাবে পুড়ে যায় নমিতার। এরপর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার পর ১১ই মার্চ তাঁকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তখন কিশোরীর অবস্থা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, স্কিন গ্রাফটিং করার জন্য ওর শরীর থেকে ত্বক নেওয়ারও উপায় ছিল না। পাশাপাশি ব্যথায় প্রচণ্ড কষ্টও পাচ্ছিল ও। পরিস্থিতি অনুযায়ী কখনও বার্ন ওয়ার্ডে, কখনও আবার ইনটেনসিভ কেয়ার পরিষেবায় রেখে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা চলে। শেষে চিকিৎসায় সাড়া দেয় সে। স্কিন গ্রাফটিং এর পর ‘রিজেকশন’ বা বর্জনের  সবচেয়ে দুশ্চিন্তার পর্বও পার করে নমিতা।

ন্যাশনাল-এর প্লাস্টিক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার ফিরদৌস আহমেদ বলেন, বাচ্চা মেয়েটিকে বাঁচানো এবং তাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা নিঃসন্দেহে আমাদের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। বুকের কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে শরীরের পুরো  উপরিভাগ  মারাত্মক ভাবে পুড়ে গিয়েছিল ওর। ছয় মাসের বেশি সময় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। ড্রেসিং, স্কিন গ্রাফটিং, বিভিন্ন সময়ে ফিজিওথেরাপি– আমরা আমাদের সাধ্যমতো সবই করেছি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen