রেকর্ড ভেঙে দিদির বিশাল জয়, ভবানীপুর নিজের মেয়েকেই জেতাল
মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে তাঁকে জিততেই হবে। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে অবশ্য কোনও সংশয় ছিল না তৃণমূল শিবিরের। চিন্তা ছিল শুধু ব্যবধানের অঙ্ক নিয়ে। উপনির্বাচনী প্রচারপর্বে মমতা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়— সকলের বক্তব্যেই ফিরে ফিরে এসেছে এই ব্যবধানের প্রসঙ্গ। উপনির্বাচনে কম মানুষ ভোট দিতে আসেন, এটা জেনেই তৃণমূল এ বার জোর দিয়েছিল ‘ভোট দিতে আসুন’ ডাকে। বৃহস্পতিবার ভোটদানের ভাল হার সে দিক থেকে খানিকটা আশ্বস্ত করেছে রাজ্যের শাসকদলকে।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮,৩২৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন দিদি। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান টপকে, ২০২১ সাধারণ নির্বাচনের দ্বিগুন মার্জিনে জয়ী হলেন তৃণমূলনেত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে চলছে অকাল হোলি। অর্থাৎ আবির খেলা শুরু করেছেন কর্মী–সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ। আর মুখে স্লোগান খেলার ফলাফল ৩–০।
রবিবাসরীয় সকালে তিন কেন্দ্রের ব্যালট গণনা শুরু হতেই সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ, ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোটগণনা শুরু হতেই তিন কেন্দ্রেই এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তিন কেন্দ্রের মধ্যে গোটা দেশের নজর ছিল ভবানীপুরে। দিদির জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই অকাল হোলি খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই বিপুল জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভবানীপুরের মানুষের কাছে চিরঋণী আমি। এবারে একটাও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি। এখানে সব ভাষাভাষী, জাতি, ধর্মের মানুষ একসাথে মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন।’
আবেগপ্রবণ হয়ে মমতা বলেন, আজকে আমার মন ভরে গেল। আমরা সারা বাংলায় জিতেও একটা কেন্দ্রে জিততে পারিনি। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল। সে নিয়ে মামলাও চলছে। ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিলেন। সারা বাংলার মানুষ এই জয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।