ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বহু এলাকা এখনও প্লাবিত রয়েছে। রবিবার ঘাটাল থানার জয়কুণ্ডুতে বন্যার জল থেকে এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের নাম তপন পাত্র(৫৬)। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তপনবাবু নিখোঁজ ছিলেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন দুপুরে ঘাটাল থানার পুলিস ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বাড়ির কিছুটা দূর থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে। বন্যার জলের তোড়ে ভেসে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, নতুন করে নিম্নচাপ না হলে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। আমরা সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবারও ঘাটাল শহর ও খড়ার শহর জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। প্লাবিত ঘাটাল, দাসপুর-১, চন্দ্রকোণা-১ এবং চন্দ্রকোণা-২ বিস্তীর্ণ এলাকাও। তবে দেড় থেকে দু’ফুটের মতো জলের উচ্চতা কমেছে। ঘাটাল পুরসভার প্রশাসক বিভাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, ঘাটাল মহকুমা তথা ঘাটাল শহরের মূল বাজারে অনেকটাই জল থাকায় পুজোর মুখে দোকানপাট সব বন্ধ রয়েছে। পুরসভার অফিসের সামনে জল থাকায় অন্যত্র থেকে পুরসভার কাজ পরিচালনা করতে হচ্ছে। ঘাটাল থানাও রবিবার ছিল জলমগ্ন।
বেশ কয়েক দিন ধরে জলবন্দি থাকায় এলাকায় এলাকায় তীব্র জল সঙ্কট শুরু হয়েছে। মনশুকার বাসিন্দা তপন দোলই, অশোক সামন্ত বলেন, পাম্পগুলি বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নদীতে জল বাড়ার সময় বাড়িতে পানীয় জল মজুত রেখেছিলাম। তা শনিবারই শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছি। বেশ কয়েক দিন বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মহকুমা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, বন্যার জল না কমলে কোনওভাবেই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে না। কিন্তু, যে সমস্ত এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে, সেখানে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।