যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু রাস্তা মেরামতির কাজ, বরাদ্দ ২০০ কোটি
ভারী বৃষ্টি এবং ডিভিসির জল ছাড়ার জন্য রাজ্যের বহু জায়গা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে ভেঙে গিয়েছে অসংখ্য রাস্তা। ছোট-বড় মিলিয়ে অনেক রাস্তাই বেহাল হয়ে পড়েছে। কোথাও রাস্তায় পিচ উঠে গিয়েছে, কোথাও গর্ত দেখা গিয়েছে। কোন কোন রাস্তার হাল খারাপ তার সমীক্ষা করে তালিকা তৈরি করছে পূর্তদপ্তর। সেইসব রাস্তায় যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মেরামতির কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য অর্থদপ্তর ২০০ কোটি টাকাও বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তার কী অবস্থা তা পর্যালোচনা করতে আজ মঙ্গলবার সব জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠক করবেন পূর্তসচিব ওঙ্কার সিং মীনা। যেসব রাস্তার প্যাচওয়ার্ক করা দরকার, সেখানে দ্রুতগতিতে রাতদিন এক করে কাজ করার নির্দেশ তিনি ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। পুজোর আগে রাস্তার গর্ত বোজাতে হবে বলে নবান্ন থেকে জেলায় জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেই নির্দেশ পেয়েই বেশকিছু রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তবে শুধু রাজ্যের হাতে থাকা রাস্তাগুলি বেহাল হয়ে পড়েছে, শুধু নয়, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির হাতে থাকা রাস্তাগুলির অবস্থা খারাপ। যেমন দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। ডানকুনি থেকে পালসিট পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের জন্য আগে খুবই ভালো ছিল। বর্তমানে সেখানেও গর্ত—উচুঁনিচু হয়ে গিয়েছে। গাড়ি চলে লাফিয়ে লাফিয়ে। পথচলতি মানুষের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির কর্তৃপক্ষকে তাদের রাস্তা সারিয়ে তোলার জন্য বলেন পূর্তসচিব ওঙ্কার সিং মীনা।
শুধু পূর্তদপ্তর নয়, পুরদপ্তর এবং পঞ্চায়েতের হাতে থাকা রাস্তাগুলির হাল হকিকত নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। যে রাস্তাগুলির অবস্থা খুব খারাপ সেগুলি পুজোর আগে সারানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সব রাস্তা সারানো বা মেরামতির জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত দপ্তর পর্যালোচনা করে দেখেছে, যেসব রাস্তায় দীর্ঘসময় জল দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে গর্ত হতে পারে। জমা জল বিটুমিনের শত্রু। সেই রাস্তার সমীক্ষার কাজ শুরু হবে জল নেমে যাওয়ার পরেই। তবে গ্রামীণ সড়ক যোজনায় যেসব রাস্তা তৈরি হয়েছে, সেইসব রাস্তার অবস্থা ভালো বলে পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।