বড়াই করেও লাগাতার ফ্লপ, উপনির্বাচনে শুভেন্দুকে বসিয়ে দিল বিজেপি?
দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কে রাজ্য সভাপতি পদে বসানো পিছনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের লক্ষ্য ছিল দলে ভাঙন আটকানো।

চলতি মাসেই রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের রয়েছে। সেই চার বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী কমিটি সম্পূর্ণ ঢেলে সাজিয়ে সেখানে তার পছন্দের সাংসদ এবং বিধায়কদের দায়িত্ব দিয়েছেন। আশ্চর্যজনকভাবে সুকান্ত মজুমদার এর তৈরি বিজেপি রাজ্য কমিটি এই নতুন নির্বাচনী কমিটিতে জায়গা হয়নি শুভেন্দু অধিকারীর।

দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার কে রাজ্য সভাপতি পদে বসানো পিছনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের লক্ষ্য ছিল দলে ভাঙন আটকানো।
বাংলায় দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির চেয়ে জনসমর্থন এবং সংগঠন তৈরি হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তা ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায়। এমনকি দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠীতে কম গুরুত্ব দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা পদে বসানোর ফলে একের পর এক বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে শুরু করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেয়ালের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে ভাগাভাগি করার রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তার অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসেবে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ যা ভোট পেয়েছিলেন, এবারের উপনির্বাচনে ভোটের শতাংশ কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সে সবই চোখে পড়েছে বিজেপির দিল্লির নেতাদের।
নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ প্রথমে ভেবেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতাকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নিলে বাংলায় বিজেপি সরকার গড়া সহজ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই গুড়ে বালি! বরং প্রত্যেক দিন একের পর এক ধাপ পেছোতে হচ্ছে বঙ্গ বিজেপিকে। তাই, ঝোপ বুঝে কোপ মারা হলো শুভেন্দুকে বসিয়ে দিয়ে, মনে করছেন অনেকে।