গেরুয়া শিবিরে জোর ধাক্কা, সামশেরগঞ্জ–জঙ্গিপুরে তৃণমূলে যোগ একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীর

আগামী ৩০ অক্টোবর রয়েছে আরও চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে এই ভাঙন বড় প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে বলে মনে করা হচ্ছে।

October 5, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

শুধু নির্বাচন মেটার ব্যাপার ছিল। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। যা ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আর সামশেরগঞ্জ–জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন মিটতেই জেলাতে জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। কারণ বিজেপি ছেড়ে প্রায় ৫০০ কর্মী–সমর্থক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মোহন হালদার। সুতরাং রাতারাতি এখানে সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকল।

আজ নবগ্রাম থানার অন্তর্গত শিবপুর অঞ্চলে তার হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দিলেন নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল, জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ খলিলুর রহমান–সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিধায়ক–সাংসদ ভাঙতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের। তার উপর তিন কেন্দ্রে নির্বাচনে ফলাফল হয়েছে ৩–০।

আগামী ৩০ অক্টোবর রয়েছে আরও চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে এই ভাঙন বড় প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে বলে মনে করা হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নবগ্রাম কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির মোহন হালদার। এবার মোহন হালদার তো যোগ দিলেই, তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপির তিন নম্বর মন্ডল সভাপতি হাবল চন্দ্র মণ্ডল।

কিন্তু কেন বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন?‌ এই বিষযে মোহন হালদার বলেন, ‘‌আমি বাড়িতে থাকার ছেলে নই। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে তাই তৃণমূল কংগ্রেসে এসে যোগ দিলাম। বিজেপি থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। ওটা একটি জনবিরোধী সরকার। তারা রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছে না। রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’‌

যদিও বিজেপির বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ বলেন, ‘‌ওনার মনে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে গেলে ওনার ব্যক্তিগত সুবিধা হবে। উনি সুখের পায়রা ছিলেন, নীতি আদর্শের দল কোনওদিন করেননি। তাই আজ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।’‌ এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে এখানে আরও ভাঙন ধরতে পারে এবং যোগদান বাড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেসে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen