অধ্যাপকদের হাজিরা খাতায় সই করানো যাবে না, বিশ্বভারতীকে নির্দেশ হাইকোর্টের
হাজিরা খাতায় এসে সই করতে হবে। সাসপেন্ড হওয়া ৯ শিক্ষককে নিয়ে এমনই নির্দেশিকা জারি করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৫ সাসপেন্ডেড অধ্যাপক। সেই মামলার প্রেক্ষইতে আদালতে ফের ধাক্কা খেল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উচ্চ আদালতের সাফ বক্তব্য, এই ভাবে ৯ সাসপেন্ডেড অধ্যাপককে হাজিরা খাতায় সই করে ঢোকার নির্দেশ অমানবিক। গত অগস্টের এই নির্দেশিকার উপর বতালি করে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
গত অগস্ট মাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল সাসপেন্ড হওয়া ৯ জন শিক্ষককে সেন্ট্রাল অফিসে গিয়ে উপাচার্যের অপ্তসহায়কের কাছে হাজিরা খাতায় সই করে আসতে হবে। এরই প্রেক্ষিতে মামলা হলে ফের একবার আদালতে ধাক্কার সম্মুখীন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সরাসরি এই নির্দেশিকা বাতিল করে দেওয়া হয় উচ্চ আদালতের তরফে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বভারতীর বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের অবিলম্বে ফেরানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি অর্থনীতি বিভাগের দুই ছাত্র ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ ও সঙ্গীতভবনের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরই গত ২৭ অগস্ট থেকে ১২ দিন ধরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন পূর্বিতা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। এর মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তার প্রেক্ষিতেই অবস্থান প্রত্যাহার-সহ তিন পড়ুয়াকে পঠন-পাঠনে ফেরানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। নির্দেশ পাওয়ার পরপরই উপাচার্যের বাড়ির সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টা পর বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।