এবার বাংলা স্লোগানেই পুজোর ফ্যাশন! রাজনীতি থেকে দর্শন একাকার টি শার্টেই
‘আপনা টাইম আয়েগা’– বছর তিনেক আগে এমন তিনটি শব্দ লেখা টি-শার্ট গায়ে চাপিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল তরুণ প্রজন্ম। শহর-গ্রাম সব জায়গাতেই এই শব্দবন্ধ লেখা টি-শার্ট দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। এখন অনেকেই ব্যঙ্গ করে তাঁদের কাছে জানতে চান, তোমার সময় কি শেষমেশ এল? স্রেফ ঠাট্টা বা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ যা-ই হোক না কেন, আমজনতার ফ্যাশন ট্রেন্ডে এটাই ইদানিংকালের চর্চিত ক্যাপশন। তবে এবার পুজোয় কোনও নির্দিষ্ট শব্দবন্ধে আটকে পড়েনি আমজনতা। টি-শার্টের গায়ে নিত্যনতুন এবং চটকদার কথা সেঁটে চমকে দেওয়ার রীতি এবারের পুজোতে ফ্যাশন ট্রেন্ড। বিদ্রুপ, কাব্য বা নিছক জীবনদর্শনের ক্ষুদ্রতম চর্চা এখন টি-শার্টের গায়ে গায়ে।
পুজোর আগে শহরের বিভিন্ন পোশাকের মেলায় টি-শার্টের গায়ে হরেক নকশা ও চটকদার শব্দ লিখছিলেন এক শিল্পী। কমলা রঙে লিখছিলেন, ‘সূর্যের মতো উজ্জ্বল হও’। আশপাশে যেসব টি-শার্ট টাঙানো ছিল, তার কোনওটির গায়ে লেখা, ‘ওরম তাকিও না’ বা ‘কাছে ঘেঁষবেন না, দূরত্ব বজায় রাখুন’। ‘আমার নজর বাজে দিকে’, ‘দুষ্টুমি ছাড়া আর আছে কী’, ‘আসতেই হবে ফিরে’, ‘হৃদমাঝারে রাখব’র মতো ক্যাপশনও রয়েছে টি-শার্টের বুকে। এই শিল্পী বললেন, আমি নিজে যেমন টি-শার্টে কিছু লিখে বিক্রি করি, তেমনই অনেকেই টি-শার্ট দিয়ে যান পছন্দসই লাইন লিখে দেওয়ার জন্য। বাউল বা রবীন্দ্রনাথের কোনও গানের লাইন লেখার চল এবার পুজোয় খুব বেশি।
হাতিবাগান বা গড়িয়াহাটের ফুটপাতেও ঝুলছে হরেক টি-শার্ট, যেখানে বাংলায় লেখা কথামালা বা আঁকিবুকি চোখ টানবে যে কারও। কিন্তু পুজোয় ফ্যাশন মানে তো আর শুধু টি-শার্ট নয়। এছাড়া কিছু টি শার্টে আছে রাজনৈতিক আভাস দেওয়া, যেমন INDIA’S BIGGEST PAPPU বা DON’T TOUCH MY BODY-র মতো লেখনীও।