আজ মমতার শপথগ্রহন অনুষ্ঠানে বিজেপি উপস্থিত থাকবে? জল্পনা
বিরোধী দল বিজেপি মমতার শপথ নেওয়ার এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে কি না তা বুধবার রাত পর্যন্ত সরকারিভাবে স্পষ্ট নয়
Authored By:

টানাপোড়েন শেষে নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টোয় বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক পদে তিনি এই শপথ নেবেন। তবে বিগত দুই টার্মের মতো এবার বিধায়ক পদে তাঁর শপথ গ্রহণ পর্ব ততটা মসৃণ হয়নি। তার সৌজন্যে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। চিরাচরিত প্রথার উল্টো পথে হেঁটে সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে এবার বিধায়ক মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন তিনি। সেজন্য তিনি রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মেনে বিধানসভায় আসতেও সম্মত হয়েছেন। স্বাধীন ভারতে কোনও রাজ্যে যা কার্যত বিরল নজির হিসেবেই চিহ্নিত হতে চলেছে। তবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সরকারপক্ষ তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে জলঘোলা করতে চায়নি বলে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং আরও দুটি নবনির্বাচিত বিধায়ক জাকির হোসেন ও আমিরুল ইসলাম ধনকারের কাছেই বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করবেন।
তবে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নয়া বিতর্কের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কারণ, বিরোধী দল বিজেপি মমতার শপথ নেওয়ার এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে কি না তা বুধবার রাত পর্যন্ত সরকারিভাবে স্পষ্ট নয়। পরিষদীয় রীতি ও সৌজন্যের সেই নজির বিজেপি ভাঙার পথে হাঁটলে তা সেই নয়া বিতর্কের জন্ম দেবে। রাজ্যপালের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্বাভাবিকভাবে যথেষ্ট বাড়তি মাত্রা পেয়েছে। সেই কারণে এবার বিধানসভা ভবনের মূল সদনে এই আয়োজন করা হচ্ছে। এমনকী, বিধানসভার বিভিন্ন কমিটির নির্ধারিত বৈঠকও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের তরফে রাজ্যের সব মন্ত্রী, বিধায়ক ও এমপিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির বিধায়কদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নিয়ম মেনে। তবে বিরোধী দলনেতা আজ মমতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন না বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের বাকি বিধায়করাও যেন সেই পথই নেন, তেমনই চান তিনি।
বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা এদিন বলেন, আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছি বুধবার বিকেলে। ৭৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী উত্তরবঙ্গের জেলা থেকে এত কম সময়ে কলকাতায় যাওয়া যে সম্ভব নয় সেটা সকলের আগে বোঝা উচিত। তবে আমাদের পরিষদীয় দল এই অনুষ্ঠানে আদৌ অংশ নেবে কি না তা বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। যদিও আমি ওঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি।