লক্ষ্য ত্রিপুরা: আজ অভিষেকের ভার্চুয়াল বৈঠক
আরও ভাঙল ত্রিপুরা কংগ্রেস। এক ঝাঁক নেতা শুধু দলই ছাড়লেন না, নতুন দলও গঠন করলেন। নেতৃত্বে ত্রিপুরার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। অন্যদিকে ত্রিপুরায় নতুন কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে আজ, শুক্রবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলে খবর।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট নামে নতুন দল আত্মপ্রকাশ করল। ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই দলের যাত্রা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের একটি বড় অংশ এই দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নতুন দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেছেন, ত্রিপুরায় কংগ্রেস দল অস্তিত্ব হারিয়েছে। আগামীদিন মানুষের স্বার্থে লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকায় থাকবে ত্রিপুরা ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিষয়টি পরবর্তী পর্যায়ে ভাবা হবে।
এদিকে ত্রিপুরায় প্রতিদিনই শক্তিশালী হচ্ছে তৃণমূল। এদিনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ১৫০ জন জোড়াফুল শিবিরে যুক্ত হয়েছেন। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দলের আরও একাধিক ভাবনাচিন্তা রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে গঠিত হয়েছে স্টিয়ারিং কমিটি। আগামীদিন কমিটি কীভাবে কাজ করবে, তারজন্য দলের তরফে একটি রূপরেখা দেওয়া হচ্ছে। আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নির্দেশ দিতে পারেন বলে খবর। বিশেষ করে অভিষেক ত্রিপুরার সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পুরোদস্তুর ময়দানে নেমে পড়েছেন। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক জমায়েতের উপর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তারই মধ্যে আগরতলা সফরে গিয়ে সেখানে সভা করেছেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তৃণমূলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক অভিযোগ করেছেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকা অবস্থায় উপরাষ্ট্রপতি সভা হয় কীভাবে! পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভাট্টাচার্য বলেছেন, তৃণমূল নেতাদের আগে সব তথ্য জেনে নিয়ে মন্তব্য করা উচিত। কোনওভাবেই আইন ভেঙে জমায়েত হয়নি। অন্যদিকে তৃণমূলের যুব কনভেনার বাপ্টু চক্রবর্তী বলেছেন, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু অনুমতি না মেলায় মুখ্যসচিবের মাধ্যমে উপরাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। তৃণমূলের মূল দাবি, সংবাদমাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই গণতান্ত্রিক পরিবেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।