৬৮ বছর পর ফের টাটা গোষ্ঠীর হাতে এয়ার ইন্ডিয়া
টাটা গোষ্ঠীর হাতে গেল এয়ার ইন্ডিয়া। শুক্রবার নিলামে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেল টাটা সন্স। ৬৮ বছর পর ফের টাটা গোষ্ঠীর হাতে এয়ার ইন্ডিয়া। ১৮ হাজার কোটি টাকা দাম দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেল টাটা সন্স।
আবারও টাটা গোষ্ঠীর হাতেই এয়ার ইন্ডিয়া ফিরতে চলেছে বলেই খবর ছিল কিছুদিন আগেই। সরকারি সূত্রে খবর মেলে, এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা পেতে বিডে সর্বোচ্চ দর দিয়েছে টাটারাই। এ নিয়ে তৃতীয়বার রাষ্ট্রায়ত্ত ক্যারিয়ার এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির চেষ্টা চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে আগের সব জটিলতা কেটে ফের চেনা ছন্দেই ফিরতে চলেছে পরিষেবা। উল্লেখ্য, এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশের পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সম্পূর্ণ মালিকানা বিক্রি করে দেওয়া পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
চলতি অর্থবর্ষেই মালিকানা বিক্রির কথা ছিল। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। তারই ফলস্বরূপ দেশের ফ্ল্যাগশিপ কেরিয়ার এয়ার ইন্ডিয়ার নিলামের পদ্ধতি শুরু হয়। সূত্রের খবর, কোভিড পরিস্থিতি শুরু হওয়ায় ফের যাত্রীসংখ্যা কমে যায় বিমানের। নতুন করে নানা দেশ থেকে ভারতের বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যার জেরে মেইটেইন্যান্স কস্ট সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় এয়ার ইন্ডিয়াকে। যার ফলে নিলামে আরও কম বিডিং রাখা হয়।
বহুদিন ধরেই লোকসানে চলা এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে যার-তার হাতে এই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রিতে সহমত ছিল না সরকার। তাই বিক্রির ক্ষেত্রেও তৈরি করা হয়েছিল বেশ কিছু মানদণ্ড। সে ক্ষেত্রে বিমান পরিষেবার সঙ্গে কোম্পানির সরাসরি যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে ইচ্ছুক কোম্পানিগুলিকে নিলামে অংশ নিতে কত বছর ও কোন কোন দেশে বিমান ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিল, তারও উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছিল ।
এ ছাড়াও কোম্পানির ব্র্যান্ড, গুডউইল ও মার্কেট ভ্যালু জানানোর কথায়ও বলা হয়েছিল কোম্পানিকে। এখানেই শেষ নয়, কর্মীদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট ও পেনশনের বিষয়ে বিগত দিনে কোম্পানি কী ব্যবস্থা করেছে, তা জানতে চাওয়া হয় বিডিং প্রসেসে। সম্প্রতি ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট’ (DIPAM)-এর সেক্রেটারি তুহিনকান্ত পান্ডে জানান, কোভিড মহামারীর কারণে এয়ার ইন্ডিয়ার বিক্রির প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। কোনও কিছু কেনার ক্ষেত্রে তার সম্পত্তির সম্পর্কে জানাটা বিডারের অধিকার। এই ক্ষেত্রে মহামারীর কারণে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার সম্পত্তি দেখতে পারেননি বিডাররা।