টুইটযুদ্ধে কংগ্রেস-তৃণমূল, রাহুলের আমেঠি হারকে কটাক্ষ ঘাসফুল শিবিরের
এবার তৃণমূলের নিশানায় ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকেও খোঁচা দেওয়া হয় ঘাসফুল শিবিরের তরফে। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর হারের প্রসঙ্গও টেনে এনে কটাক্ষ করে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসকে তোপ দেগে চলেছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে ভূপেশ বাঘেল তৃণমূলকে দল ভাঙানো নিয়ে বার্তা দেন। এরই পালটা জবাব হিসেবে বাঘেলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানানো হয় তৃণমূলের তরফে।
তৃণমূলের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে লেখা হয়, ‘প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া এক নেতার কাছ থেকে এত বড় বড় কথা শোনা যাচ্ছে। নিজের ওজন না বুঝে এই সব কথা বললে সম্মান পাওয়া যায় না। অমেঠিতে ঐতিহাসিক পরাজয়ের কথা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় কংগ্রেস কি নয়া টুইটার ট্রেন্ড শুরু করল?’
এর আগে ভূপেশ বাঘেল টুইটারে তৃণমূল এবং প্রশান্ত কিশোরকে তোপ দেগে লিখেছিলেন, ‘আমাদের দলে থেকে যাঁরা নিজেদের আসনে জিততে পারেননি, তাঁদের ভাঙিয়ে জাতীয় বিকল্প গড়ার কারিগররা খুব হতাশ হবেন। জাতীয় বিকল্প হতে গেলে গভীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দরকার। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এর কোনও দ্রুত সমাধান নেই।’
প্রসঙ্গত এর আগে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে প্রশান্ত কিশোর টুইট করেছিলেন, ‘লখিমপুর খেরির ঘটনাকে হাতিয়ার করে যাঁরা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটকে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন, তাঁরা বিশাল ভাবে হতাশ হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সংগঠনগত সমস্যার কোনও দ্রুত সমাধান নেই।’ উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেস যোগ নিয়ে জল্পনা চলছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে হাত শিবিরে নাম লেখাননি প্রশান্ত কিশোর। বরং পরিকল্পনা করে কংগ্রেস ভাঙিয়ে তৃণমূলকে জাতীয় পরিসরে স্থান করে দেওয়ার কাজ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আরও জখম হচ্ছে।