পুজোর মুখে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে জঙ্গল ও হাতি সাফারির জন্য অনলাইন বুকিং চালু হচ্ছে
দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে খুশির খবর। পুজোরমুখে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে জঙ্গল সাফারি ও হাতি সাফারির জন্য অনলাইন বুকিং চালু হচ্ছে। আজ, শনিবার থেকেই এই অনলাইন ব্যবস্থা চালু হবে। তবে অনলাইনে বুকিং হলেও হাতি সাফারির জন্য পর্যটকদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বনদপ্তর জানিয়েছে, হাতি সাফারি চালু হবে নভেম্বর মাসের শেষের দিকে। সাফারির জন্য অনলাইন বুকিং চালুর খবরে উচ্ছ্বসিত পর্যটন সংস্থাগুলিও।
সাফারির বুকিংয়ের জন্য শুক্রবার থেকেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইট খুলে দিয়েছে। জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, www.jaldaparanationalpark.org এই সাইটে গিয়ে পর্যটকরা অনলাইনে সাফারির জন্য বুকিং করতে পারবেন। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও দীপক এম বলেন, দপ্তরের ওই নিজস্ব ওয়েবসাইটকে আরও আধুনিকীকরণ করার কাজ চলছে। সাফারির জন্য বুকিংয়ের পাশাপাশি আর কিছুদিনের মধ্যে এই জাতীয় উদ্যানে ভ্রমণ সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি তথ্য ওই ওয়েবসাইট থেকে পর্যটকরা জানতে পারবেন।
সাফারির জন্য এখন আর পর্যটকদের জলদাপাড়ায় বুকিং কাউন্টারে ভোররাত থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনও জায়গা থেকে অনলাইনে কার ও হাতি সাফারির জন্য বুকিং করা যাবে। তবে কোভিড-১৯ বিধির কারণে কার সাফারিতে চারজনের বেশি পর্যটক জিপসিতে বসতে পারবে না।
অন্যদিকে, জঙ্গলে আসা ও তারপর কার সাফারির জন্য করোনার দু’টি ডোজের সার্টিফিকেট পর্যটকদের সঙ্গে থাকা আবশ্যক করেছে বনদপ্তর। আর যেহেতু হাতি সাফারি এখনই চালু হচ্ছে না সেই জন্য এই সাফারির কোভিড বিধির নিয়মকানুন এখনও প্রকাশ করেনি বনদপ্তর। নভেম্বরের শেষের দিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পিলখানার চম্পাকলি, রঙ্গিনী, জেনি ও মীনাক্ষি এই চারটি কুনকি হাতি দিয়ে সাফারি শুরু করবে। তারজন্য কুনকি হাতিগুলিকে এখন থেকেই তৈরি রাখা হচ্ছে।
সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য আলিপুরদুয়ার জংশন ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে ডুয়ার্সের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া রেল রুটে ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশাল চালু করেছে। ভিস্তাডোম ট্যুরিস্ট স্পেশালের জন্য ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সে পুজোরমুখে পর্যটকদের ভিড় আছড়ে পড়েছে। এবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ কার ও হাতি সাফারির জন্য অনলাইন বুকিং চালু করায় ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলি উৎফুল্ল। আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, বনদপ্তর অনলাইন বুকিং চালু করায় একদিকে পর্যটকদের যেমন আগেরমতো আর বুকিং কাউন্টারে দাঁড়ানোর হ্যাপা পোহাতে হবে না, তেমনি ডুয়ার্সে পর্যটকদের আরও ঢল নামবে। বনদপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।