সংসদীয় কমিটিতে আরও বেশি বিলের স্ক্রুটিনি চাই, দাবি তৃণমূলের

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে।

October 10, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

শনিবার সংসদের একাধিক স্থায়ী কমিটির পুনর্গঠন হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় খাদ্য, গণবণ্টন মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকছেন।

এই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন তৃণমূলের নতুন রাজ্যসভা সাংসদ জহর সরকার ও সুস্মিতা দেব। শিক্ষা, নারী, শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে সুস্মিতাকে। পাশাপাশি, পরিবহণ মন্ত্রক থেকে সরিয়ে ডেরেককে রাখা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে।

আগের মতোই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে অর্থ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্থায়ী কমিটি পুনর্গঠনে কেন দেরি করা হচ্ছে তা নিয়ে রীতিমতো সরব ছিলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন ও কংগ্রেসের জয়রাম রমেশরা।

রবিবারই পাল্টা চাল দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল তৃণমূল সংসদীয় দল। রবিবার তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক একটি টুইট করে সংসদীয় কমিটিতে বিলগুলি নিয়ে স্ক্রুটিনির দাবিতে সরব হয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল রাতে সংসদীয় কমিটিগুলি ঘোষণা হয়েছে শুনে আনন্দিত হলাম। শুনছি যে আমার ও জয়রাম রমেশের কারণেই নাকি এই ঘোষণা হয়েছে? আমরা সংসদীয় রাজনীতিকে আরও দৃঢ় করতে চাই।’ এরপরেই হুমকির সুরে ডেরেক লিখেছেন, ‘কেবলমাত্র সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হাজিরা দিতে আমরা যাব না। বেশি করে বিলগুলির স্ক্রুটিনি করতে হবে। ১০টি মধ্যে একটির আলোচনা করলে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন উদ্যোগ আমরা মেনে নেব না।’

নিজের টুইটের সঙ্গে একটি পরিসংখ্যানও দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা। সেই পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে, চতুর্দশ লোকসভায় বিলের স্ক্রুটিনির হার ৬০ শতাংশ। পঞ্চদশ লোকসভায় সেই স্ক্রুটিনি বেড়ে হয়েছিল ৭১ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর ষোড়শ লোকসভায় স্ক্রুটিনির শতাংশ দাড়িয়েছিল ২৫-এ। এ ভাবে চলতে থাকলে সপ্তদশ লোকসভায় মাত্র ১১ শতাংশ বিলের স্ক্রুটিনি হবে বলে দাবি করেছেন ডেরেক।


শনিবার এই কমিটি পুনর্গঠনের পর দেখা যায় তৃণমূলের তরফে শিশির ও দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন এ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো সত্ত্বেও তৃণমূল সাংসদ হিসেবে কমিটিতে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

উল্লেখ করা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে জিতে আসা বিজেপির ১৮ জন সাংসদের মধ্যে কাউকেই চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়নি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen