এবারও পুজোর দিনগুলিতে হরেক খাবারের থালা সাজিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর
এবারও পুজোর দিনগুলিতে হরেক খাবারের থালা সাজিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। যাঁরা পুজোর দিনগুলিতে হেঁশেলমুখো হতে চান না, তাঁরা বাড়িতে বসেই দুপুর বা রাতে রকমারি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এবারের বিশেষত্ব হল, বাংলার প্রায় প্রতিটি জেলার উপস্থিতি রয়েছে মেনুতে। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, এই সব খাবার বা খাবারের উপকরণ আসছে জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে। ফলে পুজো ঘিরে সাধারণ মানুষের এই পেটপুজো পরোক্ষে হাসি ফোটাবে গোষ্ঠীর সদস্যদের মুখে।
পঞ্চায়েত দপ্তরের আওতায় থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেন্সিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত হরেক মেনুর আয়োজন করেছে। চিকেন বিরিয়ানি, সর্ষে ইলিশ থেকে শুরু করে বাসন্তী পোলাওয়ের মতো লোভনীয় পদের জন্য হোয়াটস অ্যাপ করতে পারেন সাধারণ মানুষ। তবে হোম ডেলিভারি হবে শুধুমাত্র কলকাতাতেই। হোয়াটস অ্যাপ করতে হবে ৬২৯০২২৫৮৫৯ এবং ৮১৭০৮৮৭৭৯৪ নম্বরে। মূল কলকাতা ছাড়া উত্তরে ডানলপ, দক্ষিণে গড়িয়া ও সল্টলেক- নিউটাউনে খাবার পৌঁছে দেবেন দপ্তরের কর্মীরা, জানিয়েছেন কর্পোরেশনের বিপণন প্রধান স্বাগতা রায়।
এবার রান্না করা খাবার ছাড়াও বিশেষ অফারে মুদিখানার হোম ডেলিভারি চালু করছে বেঙ্গল কম্প্রিহেন্সিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন। যেমন, পাঁচ কেজি তুলাইপাঞ্জি চাল, দু’কেজি মুগ ডাল, ২৫০ গ্রাম ঘি, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো ও জিরে গুঁড়োর ১০০ গ্রাম করে প্যাকেট পাওয়া যাবে ৯৯৯ টাকায়। একই দামে মিলবে পাঁচ কেজি বাসমতি চাল, দু’কেজি মুগডাল, ২৫০ গ্রাম ঘি, এক কেজি সর্ষের তেল, ২৫০ গ্রাম মধু এবং ১০০ গ্রামের মশলার প্যাকেটগুলি। কর্পোরেশনের অধিকর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, মশলা হোক বা মাংস, প্রতিটি জেলা থেকে কিছু না কিছু আনছি আমরা। যেমন ঝাড়গ্রাম থেকে আনা হচ্ছে কচি পাঁঠা। আবার জঙ্গলমহল থেকে আসছে বন মোরগ। একইভাবে আমরা যে মিষ্টিগুলি দিয়ে থালি সাজিয়েছি, সেগুলিও এসেছে বাংলার নানা জায়গা থেকে। যেমন শক্তিগড়ের ল্যাংচা বা বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা। যেহেতু আমাদের সব পণ্যই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে আসে, তাই আমাদের আয়োজন তাদের আর্থিক দিক দিয়ে আরও সদর্থক ভূমিকা নেবে।