আজও আদিবাসীরা পুজোর চার দিন ধরে খুঁজে বেড়ান প্রিয় হুদুর দুর্গাকে গ্রামান্তরে
চারদিকে যখন অসুরদলনী দুর্গা বন্দনায় মুখর গোটা রাজ্য। তখন আদিবাসী সমাজে উলটপুরাণ। আদিবাসী সমাজে দুর্গা নয়, পুজো পায় মহিষাসুর। আজও পুজোর চার দিন তাঁদের প্রিয় রাজা হুদুর দুর্গাকে গ্রামান্তরে খুঁজে বেড়ান আদিবাসীরা।
উল্লেখ্য, আদিবাসী সমাজ বিশ্বাস করে, আর্য ও অনার্যদের মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল, সেই যুদ্ধের পরই নিখোঁজ হয়ে যান অনার্য জাতির রাজা হুদুর দুর্গা। তাঁদের বিশ্বাস রাজা এখনও বেঁচে আছেন। কোথাও লুকিয়ে রয়েছেন হুদুর দুর্গা। আর তাই দুর্গাপুজোর এই চারদিন হুদুর দুর্গাকে খুঁজে বেড়ান তাঁরা। পুরুষেরা মহিলার বেশে গ্রামের পর গ্রাম খুঁজে বেড়ান তাঁদের প্রিয় রাজা হুদুর দুর্গাকে। দাঁশাই নাচের মধ্যে দিয়েই রাজাকে খুঁজে বেড়ান আদিবাসীরা।
অনেকেই মনে করেন, হুদুর দুর্গা হল সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর উপাস্য দেবতা। আর তাঁকেই হিন্দুধর্মে মহিষাসুর হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই নিয়ে বর্ধমানের জাহের থানের মোড়ল লোসো হেমব্রম জানান, আদিবাসীরা কেউই দুর্গাপুজো করেন না। করতেও পারেন না। তাঁরা দুর্গা নয়, মহিষাসুরকেই তাঁদের দেবতা হিসাবে দেখেন। তাই কেউ কেউ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানোর মত দুর্গাপুজোয় জড়িত হলেও, তাঁরা মনেপ্রাণে জড়ান না।
অনেকেই মনে করেন, হুদুর দুর্গা হল সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর উপাস্য দেবতা। আর তাঁকেই হিন্দুধর্মে মহিষাসুর হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই নিয়ে বর্ধমানের জাহের থানের মোড়ল লোসো হেমব্রম জানান, আদিবাসীরা কেউই দুর্গাপুজো করেন না। করতেও পারেন না। তাঁরা দুর্গা নয়, মহিষাসুরকেই তাঁদের দেবতা হিসাবে দেখেন। তাই কেউ কেউ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানোর মত দুর্গাপুজোয় জড়িত হলেও, তাঁরা মনেপ্রাণে জড়ান না।
প্রসঙ্গত, আজ রবিবার বর্ধমান টাউন হল থেকে শুরু হয়েছে সেই দাঁশাই নাচের। উদ্বোধন করেন রাজ্য তৃণমূল আদিবাসী শাখার সভাপতি দেবু টুডু। তিনি বলেন, পশ্চিমী সভ্যতার জেরে ধীরে ধীরে আদিবাসী সমাজেও ঢুকে পড়েছে ডিজে, আধুনিক সংস্কৃতি। ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে আদিবাসী সমাজের নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি। সনাতনী আদিবাসী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই আজ এই দাঁশাই নাচের সূচনা করা হল। গোটা জেলা জুড়ে এই দাঁশাই নাচের টিম ঘুরবে।