উমা আবাহনে মত্ত মরু শহর দুবাই
শহরে বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। আর দুবাইয়ের সেই চমকের টানে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ ছুটছেন মণ্ডপ পরিদর্শনে। দুর্গোপুজোই কোথাও যেন এক সুতোতে বেঁধে ফেলেছে কলকাতা ও দুবাইকে। আর তাই বোধহয় ‘সিটি অফ জয়’ থেকে ৩,৩৬৭ কিলোমিটার দূরের মরু শহরে পুজিতা হচ্ছেন দেবী দুর্গা।
দুবাইয়ের বুকে দেখা মিলছে এক টুকরো কলকাতার। প্রবাসী বাঙালি-অবাঙালি মেতে উঠেছেন ঢাকের তালে। মরু শহরে হচ্ছে দেবী দুর্গার আরাধনা। আর এই পুজোর উদ্যোগ নিয়েছে ‘উৎসব’ নামে এক সম্প্রীতি গোষ্ঠী। আর তাঁদের মূল মন্ত্র, ‘প্রাণ ভরিয়ে, তৃষা হরিয়ে আরও-আরও-আরও দাও প্রাণ।’ সেই মন্ত্রকে সম্বল করে এই ক’টা দিন বিদ্বেষ, হিংসা, দুঃখকে পিছনে ফেলে হৃদয়ের টানে উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁরা। শুধু দেবী আরাধনা নয়, পুজোর ক’টা দিন নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও মজে থাকেন তাঁরা। গত চার বছর ধরেই একই রীতি চলে আসছে।
পুজোর ক’টা দিন শহরের একাংশ হয়ে ওঠে এক টুকরো কলকাতা। এবার যেমন দুবাইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলকে ‘শরৎকাল’ থিমে সাজিয়ে তুলেছেন বাংলার হাসনাবাদের হস্তশিল্পী রমেশ বিশ্বাস। দেবী প্রতিমাও গিয়েছে কলকাতার কুমারটুলি থেকে। শিল্পী কৌশিক ঘোষ। আর এই পুজোতে গান শুনিয়ে বাঙালি-অবাঙালির মন জয় করতে দুবাই যাচ্ছেন ইমন চক্রবর্তী, শঙ্খশুভ্র ঘোষ। শুধু তাঁরা নন, দেশ-বিদেশের আরও এক ঝাঁক শিল্পী আসছেন দুবাইবাসীর মনোরঞ্জন করতে।
উদ্যোক্তা স্নেহাশিস, ঋতুপর্ণারা জানাচ্ছেন, দুবাইয়ের বাঙালি-অবাঙালি ৫৫টি পরিবার একসঙ্গে এই পুজোয় মেতে ওঠেন। পুজোর এক’দিন নিজের রাজ্য থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বসে বাংলার স্বাদ পান তাঁরা।