আইপিএল-কে বিদায় অধিনায়ক বিরাটের
কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে চার উইকেটে হেরে আইপিএল থেকে বিদায় নেওয়ার পরও দলের ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ালেন বিরাট কোহলী। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আর অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে না তাঁকে। তাই ম্যাচ শেষে কোহলীর মুখে ভবিষ্যতের বার্তা। ব্যাঙ্গালোর দলে তরুণদের সুযোগ দেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি করতে পেরে গর্বিত তিনি।
আরসিবি অধিনায়ক বলেন, ‘‘আমি সব সময় একটা জিনিস চেষ্টা করে গিয়েছি, যাতে নতুন ক্রিকেটাররা উঠে আসে এবং নিজেদের প্রকাশ করে। ভারতের হয়েও একই কাজ করেছি। এটুকু বলতে পারি আমি আমার ১২০ শতাংশ দিয়েছি এই দলের জন্য। পরেও ক্রিকেটার হিসেবে দেব। যে দায়িত্ব নেবে, এটাই তার জন্য সেরা সময়।’’
অধিনায়কত্ব ছাড়লেও আরসিবি দলেই থাকছেন বিরাট। সেটাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। বিরাট বলেন, ‘‘বিশ্বাসযোগ্যতা সবচেয়ে বড় কথা। আমি যতদিন আইপিএল খেলব ততদিন আরসিবি-র হয়েই খেলব।’’
সোমবার হারের জন্য নিজের দলের ব্যর্থতার থেকেও কেকেআর বোলারদের বেশি কৃতিত্ব দিলেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘‘মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ বল করেছে কেকেআর স্পিনাররা। নিয়মিত উইকেট পেয়েছে। আমারা ভাল শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত বড় রান করতে পারিনি। যে জায়গায় ওরা বল ফেলেছে সেখানে মারা কঠিন।’’
চার উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৫ বলে ২৬ রান করা সুনীল নারাইনের আলাদা করে প্রশংসা করেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘‘ও সব সময় অসাধারণ। আজও দারুণ খেলল। গোটা আইপিএল-এই নিয়মিত উইকেট নিয়েছে। শুধু নারাইন নয়, সঙ্গে শাকিব আল হাসান ও বরুণ চক্রবর্তী, তিন জনেই দারুণ বল করেছে। আমাদের ব্যাটাদের উপর চাপ তৈরি করেছে। সেই কারণে আমরা বড় শট খেলতে পারিনি।
শেষ দিকে এক ওভারে হর্ষল পটেল দুই উইকেট নিয়ে কিছুটা লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন আরসিবিকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। নিজের দলের বোলাদের এই লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করেছেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘‘শেষ মুহূর্ত অবধি লড়াই করাই এই মরসুমে আমাদের দলের বিশেষত্ব। মাঝে একটা ওভার আমাদের খারাপ হয়েছিল। আর সেটাই ম্যাচটা বার করে দেয়। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি। আরও ১৫ রান করতে পারলে, সঙ্গে কিছু ভাল ওভার বল করতে পারলে ফল অন্য রকম হতে পারত।’’