সাফ ফাইনালে নেপালকে হালকা ভাবে নিতে সতীর্থদের বারণ সুনীল ছেত্রীর
কোনও সন্দেহ নেই, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই ভারতের আধিপত্য। যেখানে ভারত বরাবর ‘দাদাগিরি’ দেখিয়ে এসেছে।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের (Saff Championship 2021) পরে ইগর স্টিমাচ কি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন? ১৩ বারের মধ্যে ১২বার ভারত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে। এবার কি চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাতবারের কোটাকে পিছনে ফেলে আটে ঢুকতে পারবে? এইসব প্রশ্নের যাবতীয় উত্তর শনিবার পাওয়া যাবে মালেতে। যেখানে ভারত (India) মুখোমুখি হতে চলেছে নেপালের (Nepal)।
কোনও সন্দেহ নেই, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই ভারতের আধিপত্য। যেখানে ভারত বরাবর ‘দাদাগিরি’ দেখিয়ে এসেছে। নইলে ভাবুন ১৩বার সাফ ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছে। তারমধ্যে ১২বার ফাইনালে খেলেছে ভারত। একমাত্র ২০০৩ সালে ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। হয়েছিল তৃতীয়। ২০১৯ থেকে ভারতীয় দলের দায়িত্বে আছেন ইগর স্টিমাচ। অথচ এখনও ভারতের ঘরে কোনও ট্রফি ঢোকাতে পারেননি। জিরি পেসেক, স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের পরে স্টিমাচ হবেন তৃতীয় বিদেশি কোচ যাঁর হাত ধরে ভারতে আসতে চলেছে সাফ ট্রফি।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শুরুতে ড্র করে ভারতীয় ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়ে ঝড়ো বাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন। হয়ে গিয়েছিল উথাল-পাতাল। কিন্তু পরপর দু’টো ম্যাচ জিতে আবার স্বমহিমায় ভারত। তারমধ্যে প্রথম ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ ছিল নেপালের সঙ্গে। সেই ম্যাচে সুনীল ছেত্রী শেষ মুহূর্তে গোল দিয়ে ভারতের মান বাঁচিয়ে ছিল। তারপর মালদ্বীপের বিরুদ্ধে একাই বলতে গেলে ডুবন্ত দলকে টেনে তোলেন সেই সুনীল। তাই আজও সকলে তাকিয়ে থাকবেন সুনীলের দিকেই। আর্জেন্টিনা বা পর্তুগাল দলের আসল স্তম্ভ হলেন মেসি বা রোনাল্ডো। ভারতের জন্য সুনীল হলেন ঠিক তাই। তবে ভারত মনস্তাত্ত্বিক দিক দিয়ে অবশ্যই আজ এগিয়ে থেকে নামবে। যেহেতু নেপালের সঙ্গে সম্প্রতি তিনবার মুখোমুখি হয়েছেন সুনীলরা। তারমধ্যে দু’বার জিতেছে ভারত। একবার ড্র হয়েছে।
তবে নেপালকে কোনওমতেই হালকা ভাবে নিতে সতীর্থদের বারণ করে দিয়েছেন সুনীল। তাঁর সাফ কথা, দলগত খেলার দিক দিয়ে নেপাল অনেক এগিয়ে। তাই নেপালকে চোখে চোখে রাখ। “মালদ্বীপের আলি আসফাকের মতো ব্যক্তিগত প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটানোর মতো কোনও ফুটবলার নেপাল দলে নেই ঠিকই। তবু হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। কারণ, আক্রমণ-রক্ষণের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখেই খেলার চেষ্টা করে। আসলে দলগত খেলার উপর নির্ভর করে এগোয়। এবারের প্রতিযোগিতায় তাই নেপাল নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখাতে পারছে।” বলছিলেন সুনীল। সম্প্রতি তিনবার নেপালের সঙ্গে খেলার ভিত্তিতে সুনীলের মূল্যায়ণ-নেপাল কমপ্যাক্ট দল। সম্প্রতি মালদ্বীপের বিপক্ষে দু’টি গোল করে তিনি অতিক্রম করেছেন ফুটবল সম্রাট পেলেকে। এখন তিনি জাতীয় দলের হয়ে গোল করে ফেলেছেন ৭৯। তাই বলে সুনীল ব্যক্তিগত রেকর্ডের দিকে তাকাতে একদম নারাজ। তাঁর বরং একটাই লক্ষ্য, ভারতকে ফের চ্যাম্পিয়ন হিসাবে দেখা। “ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই ভারতের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটেছে। এখন ফাইনালে সেরাটা দিতে হবে। প্রথম দু’টো ম্যাচের পর আমরা মোজা প্রায় খুলে ফেলে ছিলাম। এবার শেষ করতে হবে কাজটা।” বলেন সুনীল।