রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন নার্সরা, সঙ্কট বঙ্গে

May 16, 2020 | 2 min read

কেউ হাসপাতালকে জানিয়েছেন, বাড়ি যাচ্ছেন। কেউ কিছু না-জানিয়েই চলে গিয়েছেন। ওঁরা সবাই রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত নার্সিং কর্মী। ইতিমধ্যেই মণিপুর সরকার কলকাতায় কর্মরত সে রাজ্যের বাসিন্দা ১৮৫ জন নার্সকে বাড়ি ফেরাতে গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই ১৮৫ জনের মধ্যে একটা বড় অংশ ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন। বাকিরাও দু’-এক দিনের মধ্যেই বাংলা ছাড়বেন। যার ফলে বিপাকে পড়েছে রাজ্যের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল।

রাজ্যের নবনিযুক্ত স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলছেন, ‘বিষয়টা আমি শুনেছি। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে কথা বলে সমস্যার গভীরতা বোঝার জন্য। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবশ্যই করা হবে।’

নিজেদের রাজ্যে ফিরছেন নার্সরা, সঙ্কট বঙ্গে

কেন হঠাৎ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্যের নার্সরা?

ফর্টিস হাসপাতালের চিফ নার্সিং অফিসার ডলি বিশ্বাস বলেন, ‘ওঁরা প্রাথমিক ভাবে বলেছিলেন, নিজের রাজ্য থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বাড়ি ফিরে গিয়ে সেখানে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। সে জন্যই ওঁরা ফিরে যাচ্ছেন। অধিকাংশই যাওয়ার আগে জানিয়ে যাননি। করোনা-ওয়ার্ডে ডিউটি করা নার্সেরাও গিয়েছেন।’

ত্রিপুরাও ইতিমধ্যে তাঁদের রাজ্যের বাসিন্দা নার্সদের ডেকে পাঠিয়েছে। ওডিশাও অল্প কিছু দিনের মধ্যে একই পদক্ষেপ করবে বলে আশঙ্কা। আমরি হাসপাতাল গোষ্ঠীর গ্রুপ সিইও রূপক বরুয়ার কথায়, ‘এমনিতেই পর্যাপ্ত নার্সিং কলেজের অভাবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় নার্সদের একটা অভাব থাকে। ফলে আমাদের ভিন রাজ্যের নার্সদের উপরে অনেকটাই ভরসা করতে হয়। এখন মণিপুর, ত্রিপুরা, ওডিশা যদি তাদের নার্সদের ডেকে নেয় তা হলে করোনা পরিষেবায় তো বটেই, ভবিষ্যতে সার্বিক স্বাস্থ্যব্যবস্থায় বিপর্যয় হবে।’

মণিপুরি নার্সরা চলে যাওয়ায় বিপাকে পিয়ারলেস হাসপাতালও। হাসপাতালের তরফে সুদীপ্ত মিত্র বলেন, ‘শুনছি এখান থেকে নাকি ২৫ জন নার্স চলে যাবেন। এখনও পর্যন্ত কতজন গিয়েছেন, সেটা আমরা জানি না। কারণ, তাঁরা ঠিক আমাদের জানিয়ে যাননি। এমনিতেই বেশ কয়েক জন নার্স কোয়ারান্টিনে। এর মধ্যে যদি ২৫ জন নার্স চাকরি ছেড়ে চলে যান, তা হলে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়ব।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#nurse, #West Bengal, #Coronavirus

আরো দেখুন