লোকসভা, রাজ্যসভা নাকি রাজ্যে মন্ত্রীত্ব? বাবুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুরে আচমকাই তৃণমূলে যোগ দিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা মোদী সরকারের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি বাংলার শাসক দলের পতাকা হাতে তুলে নেন।
বিজেপিতে কাজের সুযোগ কমে আসছিল। বাংলার হয়ে কাজ করার জন্য সামনে ‘বড় সুযোগ’ এসেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এমনটাই জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
মাসকয়েক আগে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার থেকেই বাবুলের ‘গোঁসা’ নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। সেইসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। পরে জানিয়ে দেন, রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে অমিত শাহ এবং নড্ডাদের অনুরোধে আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়ছেন না। কিন্তু সেই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার পর মাসখানেক কাটতে না কাটতেই সিদ্ধান্ত ‘পরিবর্তন’ করলেন বাবুল।
তৃণমূলে আসার পরে তাঁকে কী ভাবে ‘কাজে লাগানো’ হবে, এটিই এখন সবচেয়ে বেশি আলোচ্য। এক দিকে তৃণমূলের চড়া সমালোচনায় বিজেপি শিবিরে তিনি ছিলেন অন্যতম মুখ। আবার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যাঁকে পর পর দু’দফায় কেন্দ্রে মন্ত্রী করেছিলেন, সেই বাবুলকে ‘রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বহীন’ বলার ক্ষেত্রেও বিজেপি দ্বিধায় ভুগছে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্ব আপাতত এই পরিস্থিতি কাজে লাগাতে চান।
কেন্দ্রে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বাবুল। সূত্রের খবর, মমতা তাঁকে অনুরূপ কোনও ভূমিকায় কাজে লাগাতে পারেন। গুঞ্জন— পুজোর পরে রাজ্য মন্ত্রিসভায় একটু রদবদল হতে পারে। কারণ বিধায়ক নন বলে অমিত মিত্র আর অর্থমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। একটি সূত্রের ইঙ্গিত, তখন নগরোন্নয়ন দপ্তরে বাবুলের নাম বিবেচনায় আসতে পারে। আরেক সূত্রের খবর, শিল্প জগতের মানুষ বাবুলকে হয়তো দেওয়া হতে পারে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ভার।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভা আসনে বাবুলকে সংসদে পাঠাতে পারে তৃণমূল। কেউ কেউ মনে করছেন, হয়তো আসানসোলের সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করার পর ছ’মাসের মধ্যে সেই আসনেই উপনির্বাচনে তৃণমূলের চিহ্নে লড়বেন প্রাক্তন সাংসদ। তবে এখনও পর্যন্ত এ সবই জল্পনার স্তরে।