‘পুলিশ দিয়ে এনকাউন্টার করাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী’ বিস্ফোরক অভিযোগ অর্জুন সিংয়ের
করোনা সংকটেও বাংলায় থামছে না রাজ্য-বিজেপির দ্বন্দ্ব। এদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রতিনিধি হয়ে রাজ্যের ব্যাপারে নাকগলানোর অভিযোগ বরাবরই করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে বাংলার গেরুয়া শিবিরও পরপর আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল সরকারকে। শুক্রবার এই ধারাই যেন বজায় রাখলেন ব্যারাকপুর লোকসভা সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে হত্যা করানোর অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে চিঠি লিখলেন তিনি। অর্জুন সিং লিখেছেন, গতকাল অর্থাৎ ১৪ মে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে যুক্ত কমিশনার অজয় ঠাকুর সন্ধ্যাবেলায় তাঁর গোটা পরিবারকে মারতে এসেছিলেন।
অর্জুন সিং জানিয়েছেন, গত সন্ধ্যায় যুক্ত কমিশনার এবং তার ৩৫ জন সহযোগী অর্জুন সিংয়ের বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। অর্জুন সিংয়ের সুরক্ষাকর্মী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই কমিশনার জানান তারা একটি আইন ও সাক্ষ্যর ব্যাপারে অর্জুন সিংয়ের পরিবারের দুজনের খোঁজ করতে এসেছেন। এদের বিরুদ্ধে আইনগত নোটিশও জারি করা হয়েছে। অর্জুন সিং যখন নোটিশ দেখতে চান সে সময় তাদের সন্দেহজনক গতিবিধি তিনি লক্ষ্য করেন। অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, নোটিশ জারি না হওয়া সত্বেও কেন এই আইনি কার্যক্রম? নোটিশ দেখতে গেলে নোটিশ লিখতে দেওয়ার নির্দেশ কেন?
অর্জুনবাবুর অভিযোগ, তাঁরা সংঘাত বাধাতেই সিভিল ড্রেসে সন্ধ্যাবেলা এসেছিলেন। এই রাজ্যপালকে লিখেছেন, ‘পুলিশের মধ্যে কয়েকজন আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন আঞ্চলিক দুষ্কৃতী হিসেবেও অনেকেই দাবি করেছে। জনস্বার্থে আমি এই সম্পূর্ণ ঘটনাটিকে ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি শুধুমাত্র রাজনৈতিক লাভের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এইসব অপকর্ম কিছুতেই বরদাশ্ত করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে ৭৫টি মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযুক্ত কমিশনার এবং পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার আর্জি জানিয়েছেন অর্জুন সিং।