পুজোয় রেকর্ড পরিমাণ আয় করল রাজ্যের আবগারি দপ্তর
করোনাকে উপেক্ষা করেই উৎসবে মেতেছিল বাংলা। পুজোয় ঘোরাফেরা থেকে বৃষ্টিতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সবই হয়েছে দেদার। আর তাতেই রাজ্য সরকারের ভাণ্ডারের ঢুকেছে মোটা অঙ্কের টাকা।
উৎসবের দিনগুলিতে রাজ্যে মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০৪ কোটি টাকার। অবশ্য মাসের হিসেবে ধরলে ১ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ৭২০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। যার জন্য আবগারি কর বাবদ আয় হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। দেশি মদ ১.৪৬ কোটি লিটার, বিদেশি মদ ৩৭.৯৩ লাখ লিটার এবং বিয়ার ৪৩.৭৪ লাখ লিটার বিক্রি হয়েছে। আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, পুজোর আগেই মদের দোকানগুলি প্রয়োজনীয় মদ তুলে নিয়েছিল সরকার নির্ধারিত ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকে। ৮ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সেই হিসেবেই ৪০৪.০৬ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। আবগারি দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গতবারের বিক্রিও ছাপিয়ে গিয়েছে এবার। গতবারের তুলনায় এবার আর্থিক দিক থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যজুড়ে। ফলে রাজ্যের অর্থ ভাণ্ডারে আবগারি কর বাবদ অর্থ গতবারের তুলনায় জমা পড়েছে অনেকটাই বেশি।
এবার দশমী পড়েছিল শুক্রবার। তবে শুক্রবার ড্রাই ডে হলেও পুজো উপলক্ষে মদের দোকান খোলা ছিল। খোলা ছিল বারও। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও মদ বিক্রির পরিমাণ গত বছরের পুজোর দিনগুলির তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে। সব থেকে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেই শোনা গিয়েছিল সেপ্টেম্বর থেকে কমতে পারে মদের (Foreign Liquor) দাম। সেই লক্ষ্যে মদের উপর চাপানো কর পরিকাঠামোয় বদলও আনতে চায় রাজ্য বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অর্থদপ্তরে নয়া কর কাঠামোর খসড়াও নাকি জমা করেছিল আবগারি দপ্তর। কিন্তু পুজোতেও দাম কমেনি মদের। তা সত্ত্বেও উৎসবের মরশুমে সুরাপ্রেমীদের সুরাপানে ভাটা পড়েনি এতটুকু।