ত্রিপুরায় স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় স্মারকলিপি জমা তৃণমূলের
পুলিশের কাজের চাপ এর জন্যই নাকি ত্রিপুরায় তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যের উপর আক্রমণের তদন্ত নাকি এগোয়নি! হাস্যকর যুক্তি বিপ্লব দেবের পুলিশের। দুর্গাপুজোর মধ্যেই দশমীর রাতে আক্রান্ত হন ত্রিপুরার তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শান্তনু সাহা। সেই ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে ইস্ট আগরতলা থানায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব।
সুবল ভৌমিক জানান, এসডিপিও সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁদের। পুলিশ তাদের জানিয়েছে পুজোর মধ্যে কাজের চাপ থাকায় এই বিষয়ে তদন্ত এগোনো যায়নি। ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশ পেয়েছে। তা দেখিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানান তৃণমূল নেতা।
পুলিশের এই হাস্যকর যুক্তি তীব্র বিরোধিতা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা বলেন, শ্রমিক সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। সেক্ষেত্রে কোনও অপরাধমূলক কাজ হলে দোষীর শাস্তি পাবে না পুলিশের কাজের চাপের জন্য? কি হাস্যকর যুক্তি কোনওভাবেই মানা যায় না।
এরপরে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ করে দেন সুবল ভৌমিক। তিনি বলেন, “যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেন ত্রিপুরা নিয়ন্ত্রণ করেন, পুলিশ তাঁর কথায় কাজ করে, রাজ্যের বিচারব্যবস্থা তাঁর কথায় চলে, সেখানে দুষ্কৃতীরাজ চলবে সেটাই স্বাভাবিক।”
এদিন ক্যাম্প অফিস থেকে ইনস্টাগ্রম তলা থানা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। পা মেলান হাজারেরও বেশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক। সুবল ভৌমিক ছাড়াও এদিন প্রতিবাদে সামিল হোন তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাস, তাপস রায়, ড: দেবব্রত দেবরায় সহ অনেকে। থানার সামনে বসে তারা শান্তনু সাহা উপর আক্রমণের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দেন।
সুবল ভৌমিক বলেন, উৎসবের মরসুমে তারা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চান। সেই কারণেই পুলিশকে ৭২ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি দোষীরা গ্রেপ্তার না হয়, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে তৃণমূল।
এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শান্তনু সাহা। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর বলে জানিয়েছেন সুবল ভৌমিক।