স্বাস্থ্যবিধি মানতে কম যাত্রী নিয়ে ছুটবে কলকাতা মেট্রো, বন্ধ হয়ে যেতে পারে টোকেন ব্যবস্থা

পরিষেবা (Kolkata Metro) চালু হলে যাত্রীদের ওপর কড়া স্বাস্থ্যবিধি চাপাতে চলেছে কলকাতা মেট্রো। সামাজিক দূরত্ব বিধি মাথায় রেখে যাত্রী বহন সংখ্যা কমাতে পারে এই গণপরিবহণ। শুক্রবার এমন ইঙ্গিত দিলেন কলকাতা মেট্রোর মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, মেট্রো পরিষেবা শুরুর স্বার্থে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কলকাতা মেট্রো সামাজিক দুরত্ব বিধি বজায়ে বদ্ধপরিকর। স্টেশন ও ট্রেনে সেভাবেই আয়োজন করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনেই চলবে মেট্রো। পিটিআইকে এদিন এমনটাই জানিয়েছেন ইন্দ্রাণী।

May 16, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পরিষেবা (Kolkata Metro) চালু হলে যাত্রীদের ওপর কড়া স্বাস্থ্যবিধি চাপাতে চলেছে কলকাতা মেট্রো। সামাজিক দূরত্ব বিধি মাথায় রেখে যাত্রী বহন সংখ্যা কমাতে পারে এই গণপরিবহণ। শুক্রবার এমন ইঙ্গিত দিলেন কলকাতা মেট্রোর মুখপাত্র ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, মেট্রো পরিষেবা শুরুর স্বার্থে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কলকাতা মেট্রো সামাজিক দুরত্ব বিধি বজায়ে বদ্ধপরিকর। স্টেশন ও ট্রেনে সেভাবেই আয়োজন করা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন মেনেই চলবে মেট্রো। পিটিআইকে এদিন এমনটাই জানিয়েছেন ইন্দ্রাণী। তিনি বলেন, “যাত্রী বহনে সঙ্কোচন ঘটিয়ে কীভাবে ট্রেন চালানো যায়, আমরা খতিয়ে দেখছি। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় রেল ভ্রমণ এড়াতেও আমরা আবেদন করব।” স্টেশনে যাত্রীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত করা হবে। স্মার্ট গেট ও প্রবেশ পথে চলবে কড়া নজরদারি, জানান মেট্রো রেলের মুখপাত্র। 

বন্ধ হয়ে যেতে পারে টোকেন ব্যবস্থা। চিত্র Kolkata Metro

তিনি বলেছেন, “আগে সপ্তাহে গড়ে প্রায় ছয় থেকে সারে ছয় লক্ষ যাত্রী বহন করত মেট্রো রেল। ফের পরিষেবা চালু হলে এক তৃতীয়াংশ যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দেবে মেট্রো। এই নিয়মবিধি লাগু করে যদি আমাদের লোকসান হয় তাতেও যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সেই পথে হাঁটব।” যাত্রীদের প্রতি তাঁর আবেদন, “টোকেনের বদলে স্মার্টকার্ড ব্যবহার করুন। কারণ একটা টোকেন বহু হাত ঘোরে, তাই সেক্ষেত্রে সংক্রমণ সম্ভাবনা থেকেই যায়।” তিনি জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে দুরত্ব বজায়ে কমানো হবে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা। ট্রেনে সওয়ার হতে গেলে থার্মাল স্ক্রিনিং আর ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হবে।

একমাসে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। এপ্রিল মাসের নিরিখে সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে সরকারি একটা রিপোর্ট। ইন্ডিয়া-র‍্যাটিং বা ইন্ড-রা’র বিশ্লেষক অনুরাধা বসুমাতারির দাবি, “মে মাসে এই রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। যদিও চলতি মাসে তৃতীয় দফার লকডাউনে কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়েছে। তারপরেও আর্থিক বৃদ্ধি প্রভাবিত হবে।” রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে অনুরাধা দেবী বলেছেন, “এপ্রিল মাসে জিএসটি বাবদ ক্ষতি হয়েছে ১,৫১৭ লক্ষ-কোটি, রাজ্য ভ্যাট বাবদ ক্ষতি হয়েছে ৪৩৬ কোটি টাকা। রাজ্যের রাজস্ব আদায় বাবদ ক্ষতি ৯৬৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ লোকসান ৫২১ কোটি টাকা, গাড়ি কর বাবদ ২২০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ কর, ২১৪ কোটি টাকা  অনাদায়ী রয়েছে।” সবমিলিয়ে মোট রাজস্বের ক্ষতি ৪, ১৭৯ কোটি টাকা। এমনটাই পিটিআইকে জানান অনুরাধা বসুমাতারি। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen