খড়দহের গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক ধস, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে শতাধিক

খড়দহে পঞ্চায়েত এবং পুরসভা এলাকায় হাজারের বেশি বিজেপি এবং সিপিআইএমের কর্মী–সমর্থক যোগদান করেছেন ঘাসফুল শিবিরে।

October 20, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সদ্য তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে ফলাফল হয়েছে ৩–০। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ৪–০ ফলাফল করা। এই পরিস্থিতিতে খড়দহ উপনির্বাচনের ঠিক আগেই দলবদলের হিড়িক বেড়ে যায়। যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে গেরুয়া শিবিরের। ইতিমধ্যেই খড়দহে পঞ্চায়েত এবং পুরসভা এলাকায় হাজারের বেশি বিজেপি এবং সিপিআইএমের কর্মী–সমর্থক যোগদান করেছেন ঘাসফুল শিবিরে। এবার শতাধিক পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছে বলে খবর।

আগামী ৩০ অক্টোবর এখানে উপনির্বাচন রয়েছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয় খড়দহের জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহার। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গত ৫ অক্টোবর এই এলাকার প্রায় ৫০০ জন কর্মী–সমর্থক বিজেপি এবং সিপিআইএম ছেড়ে যোগদান করে তৃণমূল কংগ্রেসে। এই যোগদানের পর উপনির্বাচনে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে।

রবিবার খড়দহের পাতুলিয়া বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি নির্বাচনী সভায় প্রায় ৩০০ জন কর্মী বিজেপি ও সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তারপর বিলকান্দা ২ পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৫০টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আবার সোমবার খড়দহ বিধানসভার রুইয়া এলাকার ২৪টি পরিবার সিঙ্গল ফুল ছেড়ে যোগ দেন জোড়াফুলে। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা জানান, এই সপ্তাহে ফের শতাধিক বিজেপি এবং সিপিআইএমের নেতা–কর্মী আমাদের দলে যোগ দেবে।

উপনির্বাচনের আগে এই বিপুল পরিমাণ ভাঙনে চাপে পড়েছে বিজেপি। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোলে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কয়েকদিনের মধ্যে তিনি খড়দহে আসবেন বলে সূত্রের খবর। এই নিয়ে দমদম–বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‌এটা হওয়ারই ছিল। কারণ বাংলার মাটিতে বিজেপির বহিরাগত সংস্কৃতি কেউ মানতে পারছেন না। তাই বিজেপি ছেড়ে সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করতে চাইছেন। খড়দহে একই ছবি দেখা গিয়েছে।’‌

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen