দেশ বিভাগে ফিরে যান

বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংসদীয় কমিটিতে সরব তৃণমূল

October 21, 2021 | 2 min read

বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে সংসদীয় কমিটিতে সরব হল তৃণমূল। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলেও অভিযোগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তাই লক্ষ্মীপুজোর ছুটির দিনেও সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হাজির হয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ নথিভুক্ত করতেই এমপি ডেরেক ও’ব্রায়েনকে দিল্লি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 


নেত্রীর নির্দেশ মতো বুধবার কংগ্রেস এমপি আনন্দ শর্মার নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হাজির হয়ে বিএসএফ ইস্যুতে প্রতিবাদ  করেছেন ডেরেক। তৃণমূলের চাহিদা মতো বিষয়টি নিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে অমিত শাহ’র মন্ত্রকের অফিসারদের ডেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলেও ঠিক হয়েছে। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং পাঞ্জাব সরকারের প্রতিনিধিদের ডেকেও মতামত জানতে চাইবে সংসদীয় কমিটি। 


সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পাঞ্জাবে বিএসএফের এলাকা বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করে দেওয়া হয়। বাংলায় আগে যা ছিল ১৫ কিলোমিটার। বুধবার স্বরাষ্ট্র সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে সোচ্চার হয়েছেন ডেরেক। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হল, সেখানে নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে কেন তা ৮০ থেকে কমিয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হল? সুযোগ পেয়ে তাও উল্লেখ করেছে তৃণমূল। 


বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এদিন পুলিসের সংস্কার, বন্দি সংস্কার, দিল্লিতে ক্রাইম বাড়তে থাকা, জাতীয় নিরাপত্তার মতো আগের পাঁচটি ইস্যু নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা হবে বলেই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের চাপে সেখানে উপকূলীয় নিরাপত্তা এবং সীমান্ত সুরক্ষা যুক্ত করা হয়। আর সেই পথ ধরেই বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তোলে তৃণমূল। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন উদ্যোগের ফলে পশ্চিমবঙ্গে ১০টি জেলার ২১টি লোকসভা অঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের প্রায় এক তৃতীয়াংশ কার্যত বিএসএফের দখলে চলে যাবে বলেই টিএমসির অভিযোগ। এলাকা বৃদ্ধির অধিকার কাজে লাগিয়ে রাজ্য পুলিসকে না জানিয়েও সার্চ, সিজার এবং প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করতে পারবে বিএসএফ। ফলে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতের সম্ভাবনা প্রবল। রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই কেন এভাবে বিএসএফের দখলদারি বাড়ানো হল? সংসদীয় কমিটিতে আওয়াজ তুলেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। কমিটির সভাপতি আনন্দ শর্মাও এই ব্যাপারে সমর্থন জানিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ডেরেক যখন এই ব্যাপারে মোদি সরকারের সমালোচনা করছেন, তখন বৈঠকে উপস্থিত বিজেপির সদস্যরা কোনও প্রতিবাদ করেননি বলেই বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bengal, #tmc, #BSF

আরো দেখুন