পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লকস্তরে ব্যপক রদবদলের সম্ভাবনা
দিন কয়েকের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক স্তরের সংগঠনে রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সুত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে সাংগঠনিকভাবে মেদিনীপুর ও ঘাটাল, এই দুটি সাংগঠনিক জেলায় ইতিমধ্যেই ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দুটি সাংগঠনিক জেলাতেই তৃণমূল ও তার শাখা সংগঠনগুলির নেতৃত্বে পরিবর্তন করা হয়েছে। এবারে ব্লক স্তরের পালা।
সবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদে আছেন অমলকুমার পল্ডা। তিনি আবার নবগঠিত ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান। এক বাক্তি, এক পদ নীতির কারণে ব্লক সভাপতির পদ ছাড়তে হবে অমলবাবুকে। ফলে সবং ব্লকে তুণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে রদবদল অবশ্যম্ভাবী। পিংলা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে কোনও রদবদলের সন্তাবনা নেই। শেখ সবেরাতিই তার পদে থাকছেন।
খড়গপুর ২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে রদবদলের সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। এই ব্লকে সভাপতি তৃষিত মাইতি। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রয়েছে। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্ব একজন দাপুটে নেতাকে ব্লকের শীর্ষে চাইছেন। ফলে বিশ্বজিৎ মুখার্জির একটা সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই মনে করছে দলের একটা অংশ।
ডেবরায় বর্তমানে ব্লক সভাপতি প্রাক্তন বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি। ২০১৬ সালে রাধাকান্তকে সরিয়ে সেলিমা খাতুনকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ রাধাকান্ত দলীয় কাজকর্ম থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। পরে তিনি বিজেপিতেও যোগ দেন। কিছুদিন বাদে তৃণমূলে ফিরে এসে গত দু’বছর ধরে তিনিই ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কিন্তু কর্তমান বিধায়ক ডঃ হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে রাধাকান্তের। দলীয় কর্মসূচিতে এক মঞ্চে থাকলেও ব্লক সভাপতির এড়িয়ে যাওয়া মনোভাব সবারই নজরে পড়ছে। দলীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ডেবরা ব্লকেও পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।