নবান্নে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ইতালীয় প্রতিনিধিদলের, বিভিন্ন সেক্টরে লগ্নি নিয়ে কথা
বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, লেদার, ট্রেনিং অ্যান্ড ডিজাইনিং, জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি সেক্টরে বিনিয়োগ করতে চায় ইতালি। সম্প্রতি এই বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে ইতালির ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ভিনসেনজো ডি’লুকার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল নবান্নে এসেছিল। তাঁরা উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন। কথা বলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন সেদেশের এক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। রাজ্য সরকার শিল্পস্থাপনের জন্য সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। মূলত শিল্পতালুক ও ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমির কথা বলা হয় তাঁদের। রাজ্যের নিজে হাতে জমি থাকায় এখন আর নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর শিল্পায়নের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডেকেছে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। চালু হয়েছে সিঙ্গল উইনডো সিস্টেম। শিল্পসংস্থাগুলি যাতে শিল্পতালুকের জমি নিতে এগিয়ে আসে, তার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রসারে ডেটা সেন্টার পলিসি তৈরি করা হয়েছে। রিলায়েন্স সহ তিনটি নামী সংস্থা ইতিমধ্যেই ডেটা সেন্টার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সব মিলিয়ে শিল্পায়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রায়ই বলে থাকেন, বাংলায় শিল্পস্থাপনের উল্লেখযোগ্য পরিবেশ রয়েছে। এখানে শ্রমিকদের মেধা রয়েছে। জমির অভাব নেই। গত ১০ বছরে কোনও বন্ধ হয়নি। বাম আমলে প্রতি বছর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বন্ধ হতো। শিল্পস্থাপনে রাজ্য সরকার কোনও বাধা বরদাস্ত করবে না।
শিল্পসংস্থাগুলিকে যাতে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে রয়েছেন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিবরা। কোনও শিল্পসংস্থায় সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের পথ বের করে এই কমিটি। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ইতালির প্রতিনিধিদের জানিয়ে দিয়েছেন, এ রাজ্যে শিল্পস্থাপনে কোনও অসুবিধা নেই। শ্রমিক অসন্তোষ বা ধর্মঘট এখন অতীত। সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যসচিব। তাঁরা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।