আগের উপনির্বাচনে ৩-০ হয়েছে, এবার ৪-০ করতে হবে: প্রচারে ডাক অভিষেকের
ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকেই সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ হিসেবে উল্লেখ করলেন তিনি।
গোসাবা এবং খড়দহের মঞ্চ থেকে অভিষেকের দাবি, “কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের একটাই পার্থক্য। কংগ্রেস ৭ বছর ধরে বিজেপির কাছে হারছে। আর তৃণমূল সাত বছর ধরে বিজেপিকে হারাচ্ছে।”
৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। এর মধ্যে দু’টি কেন্দ্র গোসাবা এবং খড়দহে জোড়া সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’টি সভা থেকেই বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “কংগ্রেস, সিপিএমকে একটা ভোটও দেওয়ার অর্থ বিজেপির হাত শক্ত করা। কংগ্রেস, সিপিএমের কোনও নীতি নেই। কখনও বিজেপির সঙ্গে আপোস করেছে, কখনও তাদের কাছে মাথা নিচু করেছে। সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করতে আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছে ওরা।”
ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, গোসাবা-খড়দহ দু’টি কেন্দ্রেই কংগ্রেস কোনও প্রার্থী দেইনি। তবে তাঁরা বাম প্রার্থীদের সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন।
এদিনে ভোট প্রচারের মঞ্চ থেকে রাজ্যে তৃণমূলের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, তৃণমূলকে সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার ব্লু-প্রিন্টও তুলে ধরেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, “দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে আরও ৫ রাজ্যে সংগঠন গড়বে তৃণমূল। ত্রিপুরা, গোয়া ছাড়া আর ১২-১৫ রাজ্যে সংগঠন তৈরি করবে তৃণমূল।”
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকেও তুলোধোনা করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “এবার ২০০ পার করার দাবি করেও ৭০-এ আটকে গেছে ওরা। সিপিএম শূন্য, কংগ্রেস শূন্য। মানুষ দু’হাতে তৃণমূল নেত্রীকে ভরিয়ে দিয়েছেন। এর আগে উপনির্বাচনেও ৩-০ হয়েছে। এবারও ৪-০ করতে হবে।”